পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/২৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী : স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
২১৯

 ঊনবিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে ব্যারনেস ফন ক্রুড্‌নের নাম্নী একজন জার্মান বিদুষীকে রুষ সম্রাট গুরুর মতো শ্রদ্ধা করতেন। ফরাসী সম্রাট নাপোলেয়ঁর বিরুদ্ধে য়ুরোপের রাজন্যবর্গ যে “পবিত্র” সন্ধিসুত্রে আবদ্ধ হন, তার মূল খসড়া তিনিই করেছিলেন। রুষ সম্রাট আলেকজাণ্ডারের রাজ্য শাসন এবং যুদ্ধবিগ্রহ সংক্রান্ত অনেক গুরুতর কাজ ক্রুডনেরের উপদেশ অনুসারে পরিচালিত হ’ত ব’লে শোনা যায়।

 গান লিখে যাঁরা বিখ্যাত হ’য়েছেন, তাঁদের মধ্যে ‘‘স্কটল্যাণ্ড অনিলার” লেখিকা লেডী জন্ স্কট, লেডী “অল্ড রবিন গ্রে’ লেখিকা অ্যান্‌লিণ্ডসের লেডী নেয়ার্সের “ল্যাণ্ড দ্য লিল” বিখ্যাত।

 স্পেনে ষোড়শ শতাব্দীতে সেণ্ট টেরেসা “আত্মার প্রাসাদ” “পরিপূর্ণতার পথ” প্রভৃতি বিখ্যাত ধর্মগ্রন্থ রচনা করেন।

 বর্তমান শতাব্দীতে মিসেস্‌ হামফ্রি ওয়ার্ড (১৮৫৮-১৯২০) ১৮৮৮-তে “রবার্ট এসফের” লেখেন।

 নোবেল পুরষ্কার লাভ ক’রে বর্ত্তমান জগতে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিকদের মধ্যে যাঁরা আসন লাভ করেছেন, তাঁদের নাম, সেলমা লাগেরলফ, গ্রাৎসিয়া দেলেদ্দা, সিগ্রিড উণ্ডসেট ও পার্লবাক। এরা প্রত্যেকেই আদর্শবাদী এবং মানবহিতৈষী, এঁরা প্রত্যেকেই নারী-লেখিকাদের গৌরব। এঁদের মধ্যে পার্লবাক ভারতবর্ষের স্বাধীনতার যুদ্ধের প্রতি তাঁর আন্তরিক সহানুভূতি জানিয়ে এবং কার্য্যক্ষেত্রে ভারতে বিদেশী শাসনের বিরুদ্ধে বিদেশে জনমত গঠন করে, প্রত্যেক ভারত-নারীর শ্রদ্ধার পাত্রী হয়েছেন। সময়ের হিসাবে এঁদের অগ্রণী সেলমার