আজ আবার তাঁদের সামনে যে সমস্যাপূর্ণ দিন এসেছে, তাতে নারীকে শুধু সাহিত্যিকা অথবা সুপণ্ডিতা হলেই তাঁদের দায়িত্ব সম্পূর্ণ পালন করা হবে না, তাঁকে উভয় ক্ষেত্রেই সম্মিলিত দায়িত্ব পরিপূর্ণ রূপে গ্রহণ করতে হবে। নিজ নিজ জাতীয় শিক্ষার রক্ষাবীজ তাঁরই আঁচলে বাঁধা আছে, ধর্ম্মের কর্ষিত ক্ষেত্রে আত্মোৎসর্গের জল সিঞ্চনে সেই বীজ বপন তাঁরই জন্য প্রতীক্ষা ক’রে রয়েছে।
জাতি স্বাধীন নয়,[১] পুরুষেই সর্ব্ববিধ উচ্চাধিকারে বঞ্চিত। অনিয়ন্ত্রিত বৈদেশিক শিক্ষা-ব্যবস্থায় ধর্ম্ম বিষয়েও তাদের স্বাধীন অধিকার নেই, “স্বধর্মে নিধনং শ্রেয়ো” এ বাণী আজ তাদের কাছে কুসংস্কাররূপে প্রতিপন্ন করবার জন্য চক্রান্ত চলেছে। অপর দিকে গূঢ় রাজনৈতিক কারণ-পরম্পরায় নিজ ধর্ম্মের ব্যবহারিক স্বাধীনতা ব্যাহত হচ্ছে![২] মেয়েরাই এতকাল পারিবারিক জীবনক্ষেত্রে ধর্ম্মবীজ বপন ও ধর্ম্মবৃক্ষের রক্ষণাবেক্ষণ করে সযত্নে তাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন, বর্ত্তমানে নারীর পুরুষের সঙ্গে সমশিক্ষা এবং পরানুকৃতির মোহ প্রবলরূপ ধারণ করায় সেই ধর্ম্মতরুর মূলোচ্ছেদ হ’বার উপক্রম করেছে। এই দারুণ দূর্দ্দেব থেকে জাতিকে বাঁচাবার জন্য শুধু এদেশেরই নয়, পৃথিবীর নারীকে দৃঢ় হয়ে দাঁড়াতে হবে। তাঁরাই জীব-জননী। তাঁদের