জগতে একসঙ্গে যে সবাইকে সুখী করা সম্ভব নয়, উৎসবের আনন্দের পাশে দুঃখের অশ্রু যে চিরদিন অপরিহার্য এই সহজ সত্যটিকে কবি মর্মস্পর্শী ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন। আধুনিক পারস্য নারীর কবিপ্রতিভার পরিচয়স্বরূপ এই দুইটি কবিতাই যথেষ্ট বলে মনে হয়।
অহল্যা দেবযানী প্রমুখের কর্মোত্তর ফলাফলের মধ্যেই তাদের কৃত কর্মের প্রত্যুত্তর দেওয়া রয়েছে। শেষ প্রশ্নের জন্য অপেক্ষা না করে শেষ উত্তর বজ্রানলে লিখা হয়ে গেছে। 'দময়ন্তী’ ‘চিন্তা’ ‘সুনীতি’ শর্ম্মিষ্ঠাও আছেন, ‘উর্বশী’ ‘রম্ভা' 'তিলোত্তমা'দেরও অভাব নেই, কিন্তু মহীয়সী মহাভাগারাই সর্ব্বত্র পূজনীয়া। দার্শনিকদের মধ্যে সাংখ্যকার নিষ্ক্রিয় পুরুষকে বৃহন্নলারূপে নির্বাসিত রেখে প্রকৃতির উপরেই পূর্ণ দায়িত্ব চাপিয়েছেন। আবার বৈদান্তিক;—“অব্যক্তনামী পরমেশশক্তি অনাদ্যবিদ্যা ত্রিগুণাত্মিকা পরাঃ।”
“কার্যানুমেয়া সুধিয়ৈব মায়া যা জগৎ সর্বমিদং প্রসূয়ত্যে।”
এইরূপে তার “মায়ামূর্ত্তি”কে সর্ব্বদোষাকর বলে তাঁর অস্তিত্বই