আলোচনা হয়েছে এবং চিরদিনই হবে। প্রতি ক্ষুদ্র নরনারী ও তাঁর অমর তুলিকায় অমর হ'য়ে রয়েছে।
ভারতীয় সাহিত্যের তপোবনে ও উপবনে, সংস্কৃতে, পালিতে, প্রাকৃতে ও বাংলায় এবং পারিভাষিক অন্যান্য প্রাদেশিক ভাষায় এ পর্যন্ত বহু নারীচরিত্র নিছক নরকল্পনায় প্রসূত হয়েছে; তার মধ্যে সর্বপ্রথম কোন্ ভক্ত-হৃদয়-সরসীতে, কোন কবি-কল্পনার মানসসরোবরে শ্রীরাধারূপিণী রাধাপদ্মটী ফুটে উঠেছিল, জানা নেই, কিন্তু সেই অপূর্ব সৃজনী-শক্তির আন্তরীক প্রশংসা না করে থাকা যায় না। এই রাধা দেবী নহেন, তিনি মানবী। গোপরাজকুলে এঁর জন্ম,—জন্ম অবশ্য মানবীয় ক্রমে নয়; রাধা-পদ্মের মধ্যে অযোনিজা-কন্যারূপেই। সীতা প্রমুখের সঙ্গে এঁর জন্মসূত্রে মিল থাকলেও কর্মসূত্রে মিল আদৌ নেই। গোবিন্দদাসের মতে, তিনি—
অনন্তদাসের মতে,—
উদ্ধবদাসের মতে তাঁর রূপ,—
জয়দেবের নায়ক শ্রীকৃষ্ণ তাঁকে এই বলে তোষণ করছেন;−
“ত্বমসি মম ভূষণম্ ত্বমসি মম জীবনম্, ত্বমসি মম ভবজলধিরত্নম্।
ভবতু ভবতীহ ময়ি সততমনুরোধিণী তত্র মম হৃদয়মতি যত্নম্।”
রাধা ভগবানের হ্লাদিনী শক্তির প্রতিমূর্ত্তি; পুরুষ-বিযুক্তা প্রকৃতির গভীর রহস্যময় স্বরূপ সন্ধান ভক্তসাধক রাধার মধ্যেই কি অপূর্ব ইঙ্গিতে প্রদান করেছেন! বিশ্বসাহিত্যের উচ্চতম