অঞ্চলে বাঁধিয়া মনী বলে কোথায় ও নীলমণি
শুনলে তার ক্রন্দনের ধ্বনি পাষাণ সেও গলে।
যতনে তায় পালন, করেছিলাম লালন,
সে করলে না প্রতিপালন,
মধু কয় এ নূতন নয়!
সত্যই তাই, এ নূতন নয়ই ত! মাকে দরকার হয় তখনই,—যখন খবর আসে,—“গোঠে হতে আইল নন্দদুলাল”, যখন সাথীরা এসে আরজি পেশ করে;—
“ও মা নন্দরাণি, সাজিয়ে দে তোর নীলমণি”।
এখন সেই মায়ের দশা দেখে পাঁচজনে বলাবলি করে;—
“দেখতে কাঙ্গালিনীর মত, কিন্তু নয় কাঙ্গালিনী তত,
আয়রে গোপাল, গোপাল বলে, করাঘাত হানে কপালে,
মলিন বেশে এমন বরণ যেন রাজমাতা।
শুনেছি গোকুলে আছেন রাজার এক মাতা।”
তারপর মাতৃচরিত্রের আর এক অভিব্যক্তি দেখতে পাই প্রতিদ্বন্দ্বিনী দেবকীকে চ্যালেঞ্জ করায়।
যশোদা প্রতিবাদিনীকে ডেকে বলছেন—
“এস এস দেবকি! তোমায় গোপাল দেব কি?
এস দু’জনে ডাকি, কারে মা বলে দেখি।
যার গোপাল তার কোলে যাবে, তারে মা বলে ডাকবে,
তার পায়ের ধূলা মাথায় নেবে, সভাজন সাক্ষী॥”
ক্ষীর-সরের সঙ্গে চারটি পছন্দসই গাছের ফলও এনেছেন, স্নেহবিহ্বল স্বরে বলছেন;—