“অপাঙ্গে করুণা কর, ওগো মাতঃ মাতঙ্গি!
ভজন পূজন জানিনে মা, জেতে আমি ফিরিঙ্গি।”
এই উপলক্ষ্যে দয়াফ খাঁর গঙ্গাস্তোত্র স্বতঃই মনে পড়ে;—
“সুরধুনি মুনিকন্যে তারয়েৎ পুণ্যবন্তম্
স তয়তি নিজপুণ্যৈস্তত্র কিং তে মহত্ত্বম্?
যদি চ গতিবিহীনং তারয়েঃ পাপিনং মাম্,
তদিহ তব মহত্ত্বং তন্মহত্ত্বং মহত্ত্বম্॥”
মায়ের আর এক দারুণ আব্দেরে ছেলে কমলাকান্ত জোর গলায় বলেছেন;—
“মা আমারে তারিতে হবে, আমি অতি দীন হীন দুরাচার,
না ভাবিয়া কারণ মজিলাম ভবে।
পতিত দেখিয়া যদি না তার ভব-জলধি,
পতিতপাবনী নামে কলঙ্ক রবে॥”
এই ছেলের মাতৃভক্তি এমনই প্রবল ছিল যে, মুমূর্ষু অবস্থায় গঙ্গাতীরস্থ করবার বন্দোবস্ত করতে গেলে সেই অন্তিমকালেও সঙ্গীত রচনা করে গেয়ে ওঠেন;—
“আমার কিসের গরজ, কেন গঙ্গাতীরে যাব?
আমি কালীমায়ের ছেলে হয়ে বিমাতার কি স্মরণ নেবো?”
সাতুবাবু বা আশুতোষ দেবও আর একটি কম জবরদস্ত ছেলে নন’! ইনি বলছেন;—
“অন্নদার দ্বারে আজি পাতকী পেতেছি পাত,
ফিরাইতে পারিবে না পরশিতে হবে ভাত,
চাহি আমি সেই প্রসাদ, ঘুচে যাতে জন্মের সাধ,
যে প্রসাদ খেয়ে শিব নাচেন হয়ে ঊর্দ্ধ-হাত।”