সে দিনে বেশী লোকে জানতো না, বিশেষ ক’রে বড় ঘরের শিক্ষিত জনসমাজে।
গিরীশচন্দ্র মায়ের রাঙ্গা পা-দু’খানির প্রকৃত রহস্য জানতে পেরে গাইলেন;—
“আয়, জবা আনি নইলে কি দিব পায়?
সোনা সাজে না রে মায়ের রাঙ্গা পায়।”
ঐ রাঙ্গা পায়ের উপাসক কি কম? কেউ বলছেন;—
কেউ বলছেন;—
“তখন আমি মনে মনে, তুলবো জবা বনে বনে,
মাখায়ে ভক্তি-চন্দনে, পদে দিব পুষ্পাঞ্জলি।”
আবার শুধু কি অঞ্জলি পেয়েই রাঙ্গা পা-দু’খানির পার আছে? পণ্ডিত শ্যামাচরণ ঐ চরণকে ভবসাগর পার হবার জন্য তরণীর কাজেই লাগিয়ে নিলেন, বললেন;—“দে’ মা কালি, পদতরি, ভিক্ষা করি।” তা শুধু তিনি কেন, এ কথা বিস্তর লোকেই ত বলেছেন;—
“মা তোমার চরণ দু’খানি ব্যাধির ঔষধ জানি
তব নাম নিস্তারিণী, করো না মা বঞ্চনা।”
অতুলকৃষ্ণ মিত্র ঐ রাঙ্গা পায়ের মোহগ্রস্ত হয়ে বারে বারেই পাদপদ্মে মাথা কুটছেন;—
“কোন কামনা করিনে কিছু যাচিনে শ্যামা!
ও রাঙ্গা চরণে শুধু হেরি সুষমা।”
বলছেন;—
“আমার জীবন মরণ, শান্তি শরণ, তোর মা দু’টি রাঙ্গা পায়।”