আজ্ঞায় আমি ভিক্ষুণীদের শাসন করেছি, সে কাজে কোনো ত্রুটি হয়ে থাকে তো, হে আমার আধার, তুমি আমায় ক্ষমা কোরো। তোমার দেওয়া ধর্মরস পান করে যে তৃপ্তি পেয়েছি, শৈশবে তোমার সুন্দর রূপ দেখে, তোমার মধুর কথা শুনে সে তৃপ্তি আমার হয়নি। হে বুদ্ধবীর, তোমায় নমস্কার, তুমি সকল সত্তার শ্রেষ্ঠতম। তোমার কৃপায় আমার মতো কত শত দীন দুঃখী দুঃখের জ্বালা এড়িয়েছে।...” সমসাময়িক অন্যতমা থেরী শ্রাবস্তীর ব্রাহ্মণকন্যা মুক্তা বলেছেন:—
“শুভযোগে হও মুক্ত চন্দ্রসম রাহুগ্রাস হ'তে।
ঋণমুক্ত হয়ে মুক্তা পিণ্ডপাত করা কোনো মতে॥” (বিঃ মঃ)
সুকবি থেরী পূর্ণা বলেছেন:
“পূর্ণে, পূর্ণ করে প্রাণ পূর্ণিমার পূর্ণচন্দ্র সম।
পূর্ণপ্রজ্ঞালোকে দূর করে তুমি অজ্ঞতার তম॥”
সুবক্ত্রী শুক্লা পাঁচশ’ ভিক্ষুণীর নেত্রী ছিলেন, প্রকাশ্য সভায় ধর্মপ্রচার করে তিনি বহুনারীকে মুক্তির বাণী শোনাতেন, তাঁর এক গুণমুগ্ধা শিষ্যা লিখে গেছেন,
“ওগো রাজগৃহবাসী, কেন সবে আছ মত্তপ্রায়।
শোনো গিয়া শুক্লা আজি ধর্মের মধুর গাথা গায়।
বচনে যে মধু ক্ষরে, পান করি’ দীপ্ত করে প্রাণ।
মধুর মাধুরী নহে কভু সেই অমৃত সমান।
জ্যোতির্ময় ধর্মেরত, বীতরাগ সমাহিত-চিত।
সসৈন্যে ‘মার’কে বধি’ হয় তার জীবন বাহিত॥” (বিঃ মঃ)