দ্বিজেন্দ্রলালের মত তাঁরও বহু ব্যঙ্গরচনা আছে; তাদের মধ্য দিয়ে “ঘরওয়ালী” নারীচরিত্র স্থানে স্থানে বেশ ফুটে উঠেছে। পুত্রবিবাহে বরের বাপের ফর্দ এই প্রকার;—
“নগদে চাই তিনটি হাজার,
তাতেও আবার গিন্নি বেজার,
বলেন এবার বরের বাজার
চড়া কি রকম!
কিন্তু তোমার কাছে চক্ষুলজ্জা
লাগে যে বিষম।
আর পড়ার খরচ মাসে তিরিশ,
হয় না কমে বলে গিরীশ,
তা’ সে তোমার মেয়ে, তোমার গরজ, তোমার আকিঞ্চন
আমার কি ভাই, আজ বাদে কাল মু’দব দু’নয়ন।”
আর একটি পতি তাঁর পত্নীকে বড়ই মর্মবেদনার সঙ্গে যে কথাগুলি নিবেদন করেছিলেন তার মধ্যে একটা চিরন্তন সত্য, আছে বই কি! সেটা অস্বীকার করবার উপায় দিনদিনই কমে যাচ্ছে;—
“বাজার হুদ্দা কিইন্যা আইন্যা ঢাইল্যা দিছি পায়,
তোমার লগ্যে কেমতে পারমু হইয়া উঠছে দায়।
আরসি দিছি, চিরুণ দিছি, গা মাজনের হাপান দিছি,
চুল বাদনের ফিত্যা দিছি, আর কি দেওন যায়?
দ্বিজেন্দ্রলালও এঁদের ব্যক্তিবিশেষকে নয়, জাতিগতভাবেই প্রশংসাপত্র দিয়েছিলেন;—