পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৪০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩৮৮
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী

আমি নারী নই, নরের মোহিনী,
আমি সবাকার, মানস-মোহিনী,
আমি দেবতার ভোগের প্রসাদ,
ভক্তের পূজা-দানে।
নয়ন অন্ধ, শ্রবণ বধির-
নৃত্য-পুত্তলিকা!
বাজে করতাল,, বাজে মৃদঙ্গ,
নেচে ওঠে মোর সকল অঙ্গ,
প্রাণ নাই, তবু গান গাই আমি—
সৃষ্টির প্রহেলিকা।”[১]

 আধুনিক লেখকদের মধ্যে প্রভাতমোহনের রচনায় নারীর প্রতি শ্রদ্ধা নানাভাবে প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর “ব্রতী” নাটকের যে দুটি নারী সিদ্ধার্থকে পতিরূপে কামনা করে নিষ্ফল হয়ে তাঁকে তাদের তপস্যার ফল অর্পণ করেছিল সেই নন্দা ও নন্দবালার কথা এ-প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। তাঁর “মুক্তিপথে” কাব্যগ্রন্থের “নারী” কবিতাটিতে তিনি এ-দেশের নারীকে তাদের আত্মমহিমা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন, দেশের মুক্তিসাধনায় তাদের যোগ দিতে পূর্বাহ্নেই ডাক দিয়েছিলেন;—

“পতি-পুত্র ধন-জন, নারী-দেছে বিসর্জন
যে-দেশে ধর্মের মুখ চেয়ে,—
মাগো তুমি সে-দেশেরই মেয়ে।


  1. শ্রীমতী অনুরূপা দেবীর ‘‘দেবদাসী’’ ছোট গল্প ও নাটিকা সর্বপ্রথম এঁদের দিকে সাহিত্যিক-সহানুভূতি আকর্ষণ করেছিল মনে হয়।