পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৪৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪১২
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী

যতটুকু কাজ চলে যায় ততটুকুই লাভ। দুর্ভিক্ষের ভিখারী ভিক্ষা পাওয়া ধনকে বাজিয়ে নিতে ভরসা পায় না।

 মাণিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের “পুতুল নাচের ইতিকথা”য় নারীচরিত্রে বৈশিষ্ট্য আছে। ভালয় মন্দয় তারা সাধারণদৃষ্টাদের মতই, কেহ কেহ অদৃষ্টপূর্ব।

 প্রমথনাথ বিশির “জোড়াদীঘির চৌধুরী পরিবার”-এর নারীচিত্রে করুণ আকর্ষণ করে।

 ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায়ের একটী ক্রমশঃ প্রকাশ্য উপন্যাসের নায়িকা “মন্ত্রশক্তি”র বাণীর অতি বিকৃত কঙ্কালমূর্তি! নারী’র মধ্যে;—“নার্যা পিশাচ্যা” নেই, তা’ কে বলতে পারে, তবে যিনি আদর্শপুরুষ তিনি তেমন নারীর পিছনে পোষা বিড়ালের মত ঘুরতে যান না। যারা যায়, তা’রা নর নয়, বা-নর।

 নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের উপন্যাস “উপনিবেশ” বাংলায় নূতন ধরণের হ’লেও বর্ণিত নারীচরিত্রে বলবার মত বৈশিষ্ট্য কিছু নেই। নানা জাতির ও নানা শ্রেণীর পুরুষচরিত্রের বৈশিষ্ট্যই কৌতুহলপ্রদ।

 বিধায়ক ভট্টাচার্য নাট্যজগতে, বিশেষতঃ ছাত্রমহলে, পরিচয়স্থাপন করেছেন। ক্ষুদ্র পরিসরের মধ্যে স্বল্পবসর অভিনয়ের দিনে সত্যকার নাট্যকলার স্থান কোথায়? এ-কথা আধুনিক অন্যান্য নাট্যকারগণের রচনা সম্বন্ধে সমভাবেই প্রযোজ্য।

 জ্যোতির্ময় রায়ের “উদয়ের পথে”র দু’টি নারীচরিত্র দুই আদর্শের, কিন্তু দেখা গেল যে বাইরের খোলসটাই মানুষের আসল মূর্তি নয়, পারিপার্শ্বিকতার দ্বারা সেটা বিচিত্রিত হয়, ভিতরের বস্তু একই।