পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৪৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী
৪২৫

 প্রভাবতী দেবী সরস্বতীর বিরাট সাহিত্যের সব কথা বলা সম্ভব নয়। তবু “পথের শেষে”, “দূরের আশায়” প্রভৃতির নায়িকাদের মধ্যে অনেক উচ্চাদর্শের ও আদর্শ লক্ষ্মী স্বরূপিনী বঙ্গবালা এবং বঙ্গবধূ আমাদের মুগ্ধ করেছেন। দেবী, সীতা, বীথি প্রভৃতি আমাদের মনের ভিতর একটা স্থান করে নিয়েছে যা’ চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে। তাঁর “মাটির দেবতা”য় তরলমতি ও নীতিজ্ঞানকে কুসংস্কারবোধে বিসর্জন করা আধুনিক কতকগুলি নারীচরিত্রের ফটোগ্রাফ দেখে এদের সঙ্গে তুলনা করে স্বতঃই কণ্ঠাগ্রে আসে;—

কি ছিলে, কি হলে, কি হতে চলিলে,
অবিবেক বশে কিছু না বুঝিলে!

 কাঞ্চনমালা দেবী রচিত নারীচিত্রে বৈশিষ্ট্য খুব বেশী কিছু আছে বলে মনে হয়নি।

 গিরিবালা বসুর কতকগুলি উপন্যাস আছে, নারীচরিত্রে নূতন কিছু পাওয়া গেছে বলে মনে হয় না, তথাপি রচনা সরস ও ভাষা মার্জিত বলে পড়তে ভালই লাগে।

 সরসীবালা বসু বহু উপন্যাসের লেখিকা। নূতন কিছু বলতে বা দিতে পেরেছেন কি না সন্দেহ! অবশ্য জগতে কিছুই ব্যর্থ হয় না। চারুবালা দেবীর “সতুর মা” প্রভৃতি কয়েকখানি বইয়ে বঙ্গনারীর মর্মকথা, বিশেষ কিছু নূতনত্ব না থাকলেও পড়তে লাগে ভালই।

 মায়ালতা বসু তাঁর ‘ত্রিধারা’য় তিনটী বিভিন্ন নারীচরিত্রের সমাবেশ করে বেশ একটু জটিলতার সৃষ্টি করেছেন, তিনটী চরিত্রই নিজ নিজ স্বাতন্ত্র্যে বিভিন্ন।

O.P. 92-54