পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি
৩১

অনূদিত করে তিনি ভারত এবং চীনকে এক ধর্মসূত্রে বেঁধেছিলেন। তার আগে এবং পরে বহু পণ্ডিত চীন দেশে গেছেন, কিন্তু সহস্রাধিক বৎসর ধরে যে সম্মান তিনি চীনে পেয়েছেন, আর কোনো দ্বিতীয় ব্যক্তির ভাগ্যে সে রকম সম্মানপ্রাপ্তি ঘটেনি। এই মহাপুরুষের জীবনের সকল উন্নতির মূলে ছিল তাঁর বিদুষী বিদ্যানুরাগিণী মা জীবার অনলস পরিশ্রম এবং তাত্মত্যাগ।

 বুদ্ধের সমসাময়িক মহাপুরুষ মহাবীরের ধর্মেও সে যুগের বহু বিদুষী নারী শান্তি এবং শেয়োলাভ করেছিলেন, জৈনসাহিত্যে তাদের অনেকের নাম এবং ধর্মকীর্তির উল্লেখ আছে। মহাবীরের মা ত্রিশলা ছিলেন তীর্থঙ্কর পার্শ্বনাথের শিষ্যা, মহাবীরের পত্নী যশোদাও তাঁর ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিলেন এবং বহু নারীকে ধর্মপথে আকর্ষণ করেছিলেন। বৈশালীরাজ চেতকের মেয়ে চন্দন ছিলেন বিখ্যাত জৈনবিদুষী, তার অন্যান্য বোনদের মধ্যে বিম্বিসার-মহিষী চেল্পনা এবং কৌশাম্বী রাজমহিষী মৃগাবতী এবং মহাবীরের ভাই নন্দীবর্ধনের স্ত্রী জ্যেষ্ঠা এবং আর একবোন সুজ্যেষ্ঠ। মহাবীরের শিষ্য ছিলেন। তাঁদের সকলেরই পাণ্ডিত্যের খ্যাতি ছিল। আনন্দের বোন শিবনন্দা ছিলেন বিখ্যাত জৈনধর্ম-প্রচারিকা। জৈন সন্ন্যাসিনীদের সাধারণতঃ ‘সাধ্বী' বলা হয়, সুপণ্ডিত চন্দনা ছত্রিশ হাজার সাধ্বীর মধ্যে প্রধান ছিলেন। ঐ যুগের জৈনসন্ন্যাসিনীদের রচনার সঙ্গে আমাদের পরিচয় নেই; সুতরাং এখানে কোন কিছু উদ্ধত করা সম্ভব হল না। গুজরাত অঞ্চলে আজও বহু জৈন ভিক্ষুণী তাদের আদর্শ জীবন এবং ধর্মানুরক্তির জন্য জনসাধারণের