পাতা:সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী.pdf/৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সাহিত্যে নারী ⦂ স্রষ্ট্রী ও সৃষ্টি - অনুরূপা দেবী
৫৩

 বিজ্জকা, বিজ্জা বা বিজ্জিকা চন্দ্রাদিত্যের পত্নী বিজয় ভট্টারিকা কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ আছে, তবে তিনি যে অষ্টম নবম শতাব্দীর মধ্যেই জন্মেছিলেন সে বিষয়ে সন্দেহ নেই। তাঁর বহু কবিতা পাওয়া যায়, তার মধ্যে যেটিতে তিনি বিদ্যার দম্ভে নিজেকে সাক্ষাৎ সরস্বতী বলে দাবী করেছেন, সেটিই সব চেয়ে উপভোগ্য, কবিতাটি এই:

নীলোৎপলদলশ্যামাং বিজ্জকাং মাম্ অজানতা।
বৃথৈব দণ্ডিনা প্রোক্তং ‘সর্বশুক্লা সরস্বতী॥’

 “আমি বিজ্জকা, আমি নীলোৎপলের পাপড়ির মতো শ্যামবর্ণা, আমাকে জানতেন না ব’লেই দণ্ডী বৃথাই সরস্বতীকে সর্বশুক্লা ব’লে বর্ণনা করেছেন।” এই শ্যামবর্ণা সরস্বতীটির বহু বিভিন্ন বিষয়ে লেখা কবিতা পাওয়া যায় তার মধ্যে আর একটি এই:

প্রিয়সখি বিপদ্‌দণ্ডপ্রান্তপ্রপাত-পরম্পরা-
পরিচয়চলে চিন্তাচত্রুে নিধায় বিধিঃ খলঃ।
মৃদমিব বলাৎ পিণ্ডীকৃত্য প্রগল্‌ভকুলালবৎ
ভ্রময়তি মনো নো জানীমঃ কিমত্র করিষ্যতি॥’

 “প্রিয় সখি, আমার মনটাকে নিয়ে জোরকরে মাটির তালের মতো পাকিয়ে খল বিধাতা প্রগল্‌ভ কুমোরের মতো চিন্তার চাকায় রেখে বিপদের কাঠির ডগার ধাক্কা দিয়ে অবিশ্রান্ত ঘোরাচ্ছে, এ থেকে কি তৈরী করবে জানিনা।” বিজ্জকার সম্পূর্ণ কোনো কাব্য পাওয়া যায়নি।

 কর্ণাটের রাণী বিজয়াঙ্কাকে জনশ্রুতি কালিদাসের সমসাময়িক ব’লে নির্দেশ করে, যদিও তার কোনো প্রমাণ নেই। খৃষ্টীয়