“একে বারিনিধৌ প্রবেশম্ অপরে লোকান্তরালোকনম্
কেচিৎ পাবকযোগিতাং নিজগদুঃ ক্ষীণেহহ্নি চণ্ডার্চিষঃ।
মিথ্যা চৈতৎ অসাক্ষিকং প্রিয়সখি প্রত্যক্ষতীব্রাতপং
মধ্যেহহং পুনরধ্বনীন-রমণী-চেতোহধিশেতে রবিঃ॥
প্রিয় সখি, কেউ বলে সূর্য দিন শেষে সমুদ্রে প্রবেশ করে, কেউ বলে অন্যদেশ দে’খতে যায় কেউ বলে সূর্য্য ঐ সময় অগ্নির সঙ্গে যুক্ত হয়। এ সবই মিথ্যা কথা, কারণ এর কোনো সাক্ষী নেই। আমার মনে হয় সূর্য্য পথিক বধূর (বিরহিনীর) অন্তরে গিয়ে শয়ন করে, কারণ সেইখানে দিনশেষে তার তীব্র দাহ প্রত্যক্ষ অনুভূত হয়।”
এই যুগের অন্যতমা কবি মদালসা সমসাময়িক অন্যান্য কবির মতো মেঘগর্জনকে মদনের পৃথিবী জয়ের রণ-নির্ঘোষ ব’লে কবিত্ব করেছেন, আবার অ-কবিজনোচিত ভাষায় মানুষকে ধর্মের উপদেশও দিয়েছেন। তাঁর হিতোপদেশটি এই:
পরলোকহিতং তাত প্রাতরুখায় চিন্তয়।
ইহ তে কর্মণামেব বিপাকশ্চিন্তয়িষ্যতি॥”
“বাছা, সকালে উঠে পরলোকে যাতে ভাল হয়, তার চিন্তা কোরো। এ জগতে তোমার কাজের ফলই পরলোকে বিচার করা হবে।”
চতুর্দশ থেকে সপ্তদশ শতাব্দীর মধ্যে যাঁরা সংস্কৃতে কবিতা লিখে সাহিত্য ক্ষেত্রে স্থায়ী আসন লাভ করেছেন তাঁদের মধ্যে কেরলী, কুটলা, পদ্মাবতী, গৌরী, মদিরেক্ষণা, বিদ্যাবতী, গন্ধদীপিকা, জঘনচপলা, গঙ্গাদেবী, দেবকুমারিকা,