পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় ও বাংলা-সাহিত্য 8 3 যাহা ব্যতিরেকে ষে কায্যের উৎপত্তি হয় না, তাহাকে সেই কার্ঘ্যের কারণ বলে । সূৰ্য্য ব্যতিরেকে দিবাভাগের তাপ জন্মে না । বিনা মেঘে বৃষ্টি হয় না। অগ্নি বিনা দাহন ঘটে না। মারুতহিল্লোল ব্যতিরেকে লতাপল্লব সঞ্চালিত হয় মা ! এই নিমিত্তই সূর্য্যকে তাপের কারণ, মেঘকে বৃষ্টির কারণ, অগ্নিকে দহিমের কারণ, এবং মারুতহিল্লোলকে লতাপল্লবসঞ্চালনের কারণ বলা যায় । যে সমুদায় ঘটনা, অবস্থা বা বস্তু সমবেত ন হইলে কাৰ্য্যবিশেষের উৎপত্তি হয় না, কারণ বলিলে বিজ্ঞামানুসারে সে সমুদায়ের সমষ্টিকে বুঝায় ; কিন্তু চলিত কথায়ু তন্মধ্যস্থ যে কোম একটিকে কারণ বলিয়। উল্লেখ করা যায় । যখন আমরা মেঘকে বৃষ্টির কারণ বলি, তখন যে আমরা ক1 {{' শম: , প্রতি লক্ষ্য করি, কিঞ্চিং বিবেচনা করিলেই অমুভূত হইবে । যে বাপরাশি মেঘরূপে গগনমণ্ডলে ভাসমান হয়, তাহ। শীতলবায়ুসংস্পৃষ্ঠ বা কিযুৎপরিমাণে তাড়িতভ্ৰষ্ট ন হইলে জলরূপে পরিণত হয় না। সুতরাং মেঘের শীতলসমীরণসংস্পর্শ বা তড়িতত্যাগ বৃষ্টির অন্যতর কারণ। আবার ভাবিয়া দেখ, পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ ম৷ থাকিলে, জলদ রূপান্তরিত হইয়া যে বারি জন্মে, তাহ ভূপৃষ্ঠে পতিত হইতে পারিত না । সুতরাং ভূমণ্ডলের মাধ্যাকর্ষণ বৃষ্টির আর একটি কারণ । অতএব প্রকৃতরূপে বৃষ্টির কারণ নির্দেশ করিতে হইলে মেঘ, তৎসঙ্গে শীতল বায়ুর সংস্পৰ্শ বা তৎকর্তৃক তাড়িতত্যাগ, এবং পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ, এই কয়েকটার উল্লেখ করিতে হয় । কারণ হইতেই কায্যের উৎপত্তি। সুতরাং কারণ কার্য্যের পূৰ্ব্ববত্ত । অগ্রে মেঘ হইবে, পরে বৃষ্টি হইবে। অগ্রে স্বৰ্য্যোদয় হইবে, পরে পৃথিবীপৃষ্ঠস্থ পদাৰ্থচয় উত্তপ্ত হইবে। কিন্তু যাহ। কিছু পূৰ্ব্ববর্তী লক্ষিত হয়, তাহাই কারণ বলিয়া গ্রাহ হইতে পারে না । ম্বে সময়ে