পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

eы ब्रांजनांद्राब्रन बग्न হইয়াছিল যে, দরিদ্র ছাত্রগণ মিশনর স্কুলে বিনা বেতনেও পড়িতে না শিয়া এখানে জাসিয়া ভিড় জমাইড। এ বৎসর স্কুলের ছাত্রসংখ্যা পূৰ্ব্বাপেক্ষা চুম্বাল্লিশ জন বৃদ্ধি পায় এবং মোট দুই শত দুই জনে দাড়ায়। রাজনারায়ণ বসু মহাশয় বিদ্যালয়ের বাহিরে জনসাধারণেরও শিক্ষক ছিলেন। তাদের উন্নতি ও মঙ্গলার্থে মেদিনীপুরে এই দীর্ঘ সময়ের মধ্যে যত প্রকার প্রচেষ্টা হইয়াছিল, তাহার অধিকাংশেরই মূলে ছিলেন মনদ্বী রাজনারায়ণ। মেদিনীপুর পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার অন্যতম প্রধান উদ্যোগী ছিলেন রাজনারায়ণ । তিনি ইহার প্রথম সম্পাদক ছিলেন, এবং ইহ সংগঠনে যথেষ্ট সময়ক্ষেপ করিয়াছিলেন • মেদিনীপুরে শ্রমজীব বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা ও ব্রাহ্মসমাজগৃহ নিৰ্ম্মাণ সম্পর্কে সোমপ্রকাশ’ ( ২২ জুন ১৮৬০ ) লেখেন : অন্যত্র কতকগুলি কৃতবিদ্যের উৎসাহবলৈ শ্রমজীবীদিগের বিদ্যাশিক্ষার নিমিত্ত একটি “নাইট স্কুল" সংস্থাপিত হইয়াছে। প্রযুক্ত রাজনারায়ণ বসু ইহাব সম্পাদকীয় কার্যোর ভার গ্রহণ করিয়াছেন ।. খ্রীযুক্ত রাজনারায়ণ বসুর যড়ে এখানে একটি ব্রাহ্মসমাজগৃহ নিৰ্ম্মি ই ইয়া ইহার কার্য অতি উত্তমরূপে চলিতেছে । এবং একটি ব্রাহ্মবিদ্যালয়ও সংস্থাপিত হইয়াছে । অন্যান্য ব্রাহ্মসমাজ অপেক্ষ এখানে ব্রাহ্মের সংখ্যা অধিক, কিন্তু প্রকৃত ব্রাহ্ম অতি অল্প । এই উদ্ধৃত শেষাংশে উল্লিখিত ব্রাহ্মসমাজ সম্বন্ধে মহৰ্বি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেন : মেদিনীপুরে , আমি গত শ্রাবণ মাসে [ জুলাই-আগস্ট ১৮৬২ ] • হইয়া তথাকার ব্রাহ্মসমাজ অবলোকন পূৰ্ব্বক ও ব্রাহ্মদিগের উপ;ি Tন রাজনারায়ণ বস্ব কর্তৃক রচিত এই লাইব্রেরী সংক্রান্ত স্মারকলিপি শ্ৰীযুক্ত ব্রজেন্দ্রনাথ বন্দোপাধ্যায় ১৯৩৪ মে সংখ্যা "The Modern Review' তে ( পৃ. ৫২৭ ) প্রকাশিত করিয়াছেন ।