পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

盤の রাজনারায়ণ বসু আমাদিগকে বলিন্তেন আমাদের এক্ষণে দুই ম: কার্যা-আদি ব্রাহ্মসমাজ গৃহে প্রতি বুধবার নিয়মিত উপ করা এবং প্রতি মাসে তত্ত্ববোধিনী পত্রিক প্রকাশ করা । ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাঙ্গভুক্ত স্ত্রীস্বাধীনতার পক্ষপাতী এক দল ব্রাহ্মের সাহিত ১৮৭২ খ্রীষ্টাব্দেই কেশবচন্দ্র সেনের মতবিরোধ উপস্থিত হয় । ইহার কিছুকাল উক্ত সমাজমন্দিরে না গিয়া স্বতন্ত্র গৃহে উপাসনার ব্যবস্থা করেন । রঞ্জনারায়ণ এই সমাঙ্কে আচ; আত্ম-চরিতে ( পৃ. ১৯৬-৭ ) তিনি এ বিষয়ে উল্লেখ কঃছেন । ‘তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা" ( আষাঢ় ১৭৯৪ শক ) লেখেন : - জনরব এই যে, যে সকল ব্রাহ্ম ভারতবর্ষীয় ব্রাহ্মসমাজ হই স্বতন্ত্র সমাজ সংস্থাপন করিয়াছেন তাহারা পুনরায় ঐ সমাজের সঙ্গে মিলিয়াছেন নিক্স এ জনরব অমূলক। নুতন সমাজের অধিকাংশ সভ্য এরূপ করেন নাই ; অল্পসংখ্যক সভাই এরূপ করিয়াছেন । কয়েক সপ্তাহ হইল শ্ৰীযুক্ত রাজনারায়ণ বসু মহাশয় ঐ সমাজের উপাসনা কার্য নিববৰ্ণছ করিতেছেন। স্কুল বিষয়ে ..ঐক্য থাকিলে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ে অনৈক্য সত্ত্বেও আদি ব্রাহ্মসমাজ অন্য সমাজকে যথাসাধ্য সাহায্য করিতে পরাখে নছেন। উক্ত বিরোধ বিচ্ছেদে পরিণত হয় ১৮৭৮ খ্রীষ্টাব্দের রঞ্জ-আলোচিত কুচবিহার-বিবাহের পর । তখন কেশব-বিরোধী প্রগতিশীল ব্রাহ্মগণ সাধারণ ব্রাহ্মসমাজ স্থাপন করেন । র্তাহারণ স্বভাবতঃই নানা বিষয়ে মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, রাজনারায়ণ বসু প্রমুখ আদি ব্রাহ্মসমাজের ব্রষীয়ান ব্রাহ্মদের মত ও উপদেশ ষাজ্ঞা করিতেন । সকল বিষয়েষ্ট রাজনারায়ণের স্বাতন্ত্রাবোধ প্রখর ছিল । ব্রাহ্মধৰ্ম্ম ভারতবাসীর জাতীয় ধৰ্ম্ম, ইহাকে জাতীয় রূপ দেওয়াই যে সকল ব্রাহ্মের কর্তব্য, এ কথা তিনি

  • আত্ম-চরিত, পৃ. ১৯৩-৪