পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●● রাজনারায়ণ বসু সৃষ্টি হইয়াছিল। রাজনারায়ণ স্বয়ং পুস্তক প্রকাশ ও আন্দোলন আলোচনার এইরূপ বিবরণ দিয়াছেন : “আমি ইংরাজী ১৮৭১ সালে দেওঘরে আসি, আসিবার এক বৎসর পরে এই পুস্তিক! ইংরাজীতে লিখিতে আরম্ভ করি । অদ্য ( ১৬ জ্যৈষ্ঠ ১২১৬) তিন বৎসর হইল ঐ প্রস্তাব বাঙ্গলাতে অনুবাদ করিয়া নবজীবন পত্রিকায় প্রকাশ করি । নবজীবনে প্রকাশিত প্রস্তাব শ্রীযুক্ত কুমার নীলকৃষ্ণ দেব বাছাছুরের অর্থমুকু ল্য পুস্তকাকারে মুদ্রিত হয় । সম্প্রতি উচ্চার ইংরাজা মূল মন্দ্রাজ প্রদেশীয় শ্ৰীল ঐযুক্ত শ্রীরাজ্যগুডে নারায়ণ গজপতি রাও গারুর অর্থানুকূল্যে প্রকাশিত হইয়াছে।...এই পুস্তিক সকল শ্রেণীর হিন্দুই পছন্দ করিয়াছেন । প্রচলিত হিন্দুধৰ্ম্ম প্রচারক শ্ৰীকৃষ্ণপ্রসন্ন সেন, কুমার নীলকৃষ্ণ দেব বাহাদুর, দ্বারভাঙ্গার বাবু চন্দ্রশেখর বসু, মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, ব্যারিষ্টার মনোমোহন ঘোষ, সাধারণ ব্রাহ্মসমাজের সভাপতি ব্যারিষ্টার আনন্দমোহন বসু প্রভৃতি এই পুস্তিকার প্রশংসা করিয়াছেন ।...ঈশ্বৱেচ্ছায় সাকারবাদী হিন্দু ও নিরাকারবাদী হিন্দু উভয় প্রকার হিন্দুর সমবেত যত্নে যদি কখন মহা হিন্দু সমিতি ভারতবর্ষে সংস্থাপিত হয়, তাহা হইলে দেশের প্রভূত কল্যাণ ” { আত্ম-চরিত পৃ. ৯৪-৫ ) বাংলা ইংরেজী নানা সংবাদপত্রেও এ সম্বন্ধে বিঙ্গে আলোচন হইতে থাকে । তত্ত্ববোধিনী পত্রিক’ ( কাৰ্ত্তিক ১৮০৮ শক ) লেখেন : ‘ভক্তিভাজন, বৃদ্ধ রাজনারায়ণ বাবুর ইচ্ছা মই হিন্দ্র সমিতি নামে এক হিন্দু সাধারণ সভা প্রতিষ্ঠিত হয় । ইহার উদেশ্ব অতি মহৎ । কিন্তু মধ্যে সাকার ও নিরাকার উভয় প্রকার উপাসকই এই সমিতিতে মিলিত হইতে পারেন । ধৰ্ম্ম বিষয়ে স্বত্ব ও অধিকার রক্ষা করা, হিন্মুদিগের জাতীয় ভাব উদ্দীপন করা এবং সাধারণতঃ শরীর, মন, নীতি, রাজনীতি, কৃষি ও শিল্পের উন্নতিসাধন করা এই সভার প্রধান লক্ষ্য হইবে ...