পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१३ - রাজনারায়ণ বসু সে কাল আর এ কাল । ১৮৭৪ । রাজনারায়ণ পুস্তকের ভূমিকায় (২২ আশ্বিন ১৭৯৬ শক) লেখেন : “প্রায় ছাব্বিশ বৎসর পূৰ্ব্বে ব্রাহ্মসমাজ-গৃহে শ্ৰীযুক্ত বাৰু অক্ষয়কুমার দত্ত মহাশয় ও আমি, আমরা দুই জনে তত্ত্ববোধিনী সভার কার্য্য করি তাম, ইহা ১৭৯৪ শকের ফাস্তুন মাসে হঠাৎ একদিন মনে পড়িল । বোধ হইল, আমরা যেন এক প্রকাণ্ড ডেক্সের সম্মুখে এখনও দুই জনে কাৰ্য্য করিতেছি । এইরূপ পূৰ্ব্বকার বন্ধুতার ব্যাপার হঠাৎ স্মৃতিপথে জাগরুক হওয়াতে অক্ষয়বাবুর সদর্শন জন্য মন ব্যাকুল হইল । তৎপরে একদিন শ্ৰীযুক্ত বাৰু দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর মহাশয়ের সমভিরাগরে উচ্চার সহিত বাঙ্গীতে সাক্ষং করিতে গেলাম । সাক্ষাতের সময় নানাবিধ প্রসঙ্গ উপস্থিত হইল । অক্ষয়বাবু প্রস্তাব করিলেন যে, সে কালের সঙ্গে এ কাল তুলনা করিয়া যদি কেহ একজন প্রবন্ধ লিখেন, তাই হইলে বড় ভাল হয় । অামি ঐ বিষয়ে প্রবন্ধ লিখিতে ইচ্ছা প্রকাশ করিলাম । ইংরাজী শিক্ষার ইষ্ট বিষয়ে অনেক প্রবন্ধ লেখা হইয়াছে, তাহা হইতে যে সকল অলিষ্ট উৎপত্তি হইতেছে, তদ্বিষয়ে কেহ প্রবন্ধ লেখেন মাই, আমি সে বিষয়ে একটি প্রবন্ধ লিখি, পূৰ্ব্বে আমার এইরূপ মানস ছিল। অক্ষয়বাবুর প্রস্তাবিত বিষয় আর এই বিষয়টি প্রায় সমান। পূৰ্ব্বে মনে মনে এইরূপ ইচ্ছা থাকাতে সহসা অক্ষয়বাবুর প্রস্তাবে সম্মত হইলাম । তৎপরে জাতীয় সভায় ঐ শকের ১১ চৈত্র দিবসে সে কালের সঙ্গে এ কাল তুলনা করিয়া একটি বক্তৃতা করি । আমার প্রিয় বন্ধু ও ছাত্র শ্ৰীযুক্ত বাৰু ঈশানচন্দ্র বসু ঐ বক্ততার নোট লিথিয়ছিলেন । সেই সকল নোট হুইতেই বৰ্ত্তমান প্রবন্ধের উৎপত্তি হয়। প্রবন্ধটি লিখিয়া অক্ষয়ুবাবুকে দেখান হইয়াছিল । তিনি যে সকল স্থান পরিবর্তন অথবা যে সকল স্থানে নুতন বিষয়