পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}}r ঈশানচঞ্জ বন্দ্যোপাধ্যায় আকস্মিক বিয়োগে অষসন্ন। তাহার প্রতিকৃতি এই সংখ্যার পূর্ণিমার দেওয়া হইল –‘পুণিমা, আষাঢ় ১৩-৪, পৃ. ১২৪ ঈশানচন্দ্র ও বাংলা-সাহিত্য বাংলা কাব্য-জগতে যখন হেমচন্দ্র ও নবীনচন্ত্রের অপ্রতিহত প্রভাব, ঈশানচন্দ্র তখনই সাহিত্যিক-সমাজে কবিখ্যাতি অর্জন করিয়াছিলেন । কিন্তু সে খ্যাতি এক দিকে হেমচন্দ্র, নবীনচন্দ্র এবং অন্য দিকে রবীন্দ্রমাখের চাপে স্থায়ী হইবার অবকাশ পায় নাই। সৌভাগ্যের বিষয়, বাংলা-সাহিত্যের দরবারে তিনি কয়েকখানি কাব্যগ্রন্থ পেশ করিয়া গিয়াছেন, সেগুলি হইতেই তাহার প্রতিভা ও কবি-কান্ত্রি সম্বন্ধে পুনর্বিচার করা সম্ভব। ঈশানচন্দ্র নিম্নশ্রেণীর কী ছিলেন না। ৰে কারণে তিনি মাত্র ৪২ বৎসর বয়সে নিজ হাতে নিজের বনের অবসান ঘটাইয়াছিলেন, সম্ভবত তাহার যাবতীয় কাব্যগ্রন্থের মূলে সেই কারণই ছিল ; অধিকাংশ কবিতাই, বিশেষ করিয়া যোগেশ কাব্য'খানি একটা অন্তগূঢ় জালায় জর্জরিত। সক্ষম রচনা বলিয়াই সেগুলি পাঠকের মনেও জ্বালা ধরাইয়া দেয়। সেই বেদনা ও জ্বালা পরিমাণে অধিক বলিয়াই ঈশানচন্দ্রের কবি-প্রতিভা চরম সার্থকতা লা করে নাই ; যাহারা তাহাকে জানিতেন, তাহারাই মুগ্ধ হইয়াছেন, তিনি জনপ্রিয় হইয়া উঠিতে পারেন নাই। বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদগ্রন্থাবলীভূক্ত বাংলার কবি ও কাব্য গ্রন্থমালায় ঈশানচন্দ্রের কবিতার একটি সঙ্কলন বাহির হইয়াছে, তাহা হইতেই অমুসন্ধিৎসু পাঠক তাহার কবি-প্রতিভার পরিচয় পাইবেন। আমরা এখানে দুই একটি কবিতার অংশবিশেষ উদ্ধৃত করিয়া উহার ক্ষমতার সামান্ত নিদর্শন দিতেছি ।