পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ն Հ হুইল রাজনারায়ণ বসু পুস্তকে এই বিষয়গুলি সন্নিবিষ্ট হইয়াছে : স্বদেশী ভাষানুশীলন মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রণীত "মেঘনাদব?” বোর সমালোচন, আত্মীয় সভার সভ্যদিগের বৃত্তান্ত, আর্য উৎপত্তি ও বিস্তার, শিক্ষিত বঙ্গবাসীগণের মধ্যে জাতীয় গৌরবেচ্ছা সঞ্চারিণী সভা সংস্থাপনের প্রস্তাব, বাল্মীকির অক্ষয় কীৰ্ত্তি, জাতিভেদ বিষয়ে বর্তমান আন্দোলন, আশ্চর্য স্বপ্ন, জেঠামো, চিকিৎসা, সমাজ সংস্কার, ঐ ( দ্বিতীয় প্রস্তাব), ঐ (তৃতীয় প্রস্তাব ), মিসর দেশ, হিন্দু অথবা প্রেসিডেন্সী কলেঞ্জের ইতিবৃত্ত, তিনটি পরিশিষ্ট । এই পুস্তকের কোন কোন প্রবন্ধ হইতে অংশ-বিশেষ এখানে উদ্ধৃত জাতিভেদ বিষয়ে বৰ্ত্তমান আন্দোলন “জাতিভেদ প্রথা কেবল ধৰ্ম্ম ও বিদ্যাকে উৎসাহ প্রদান পূৰ্ব্বক লোক সমাজের উপকার সাধন করে এমত নহে ; দেশে বৃদ্ধিমান ব্যক্তির প্রবাহু রক্ষণ করিয়া অার এক প্রকারেও লোকসমাজের উপকার সাধন করে । দেশে বুদ্ধিমান ব্যক্তির প্রবাহ রক্ষিত না হইলে তাহার অমঙ্গলের সম্ভাবনা । এক্ষণে ইউরোপ খণ্ডের কোন কোন দেশে বুদ্ধিমান ব্যক্তির অভাব জন্ম লোকে আক্ষেপ করিয়া থাকে । গ্যাল্টন সাহেব প্রভৃতি কোন কোন ইউরোপীয় পণ্ডিতের বলেন যে ঐ অভাব মোচন জন্য বুদ্ধিমান পুরুষের সহিত বুদ্ধিমতী স্ত্রীলোকের বিবাহ দেওয়া কৰ্ত্তব্য । তাই হইলে তাহাদিগের সম্ভানও বুদ্ধিমান হইবে । এই প্রকারে বুদ্ধিমান ব্যক্তির প্রবাহ দেশে চিরকাল রক্ষিত হইবে উল্লিখিত পণ্ডিতেরা ইউরোপ খণ্ডে এইরূপ প্রথা প্রবর্তিত করিবার প্রস্তাব করেন কিন্তু আমাদিগের দেশে এই প্রথা অনেক দিন অবধি আছে । ব্রাহ্মণ প্রভৃতি উচ্চজাতীয় ব্যক্তির নিকৃষ্ট জাতীয় ব্যক্তি অপেক্ষ ষে বুদ্ধিমান, তাহার সন্দেহ