পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\ রঞ্জনারায়ণ বসু পারি না । যখন কবিরপন্থী, দাদ্ধপন্থী, নানকপন্থী, শিখ, সাধ, চৈতন্য মতাবলম্বী বৈষ্ণব বিশেষতঃ র্তাহাদিগের মধ্যে অনন্তকুল বৈষ্ণব, র্যাহারা জাতিভেদ আদ্বোবে স্বীকার করেন না, যখন জৈনেরা পর্য্যন্ত যাহাদিগের প্রধান উপাস্ক দেবতা অর্থাৎ তীর্থঙ্কর সাধারণ হিন্দুর উপাস্থ্য কোন দেবতা নহে, ইহার পর্য্যন্ত যখন হিন্দু বলি গণ্য হয়েন তখন ব্রাহ্মেরা কেন হিন্দ্র বলিয়া গণ্য হইবেন না । ষে সকল বিলাত ফেরত ব্যক্তি হিন্দুপদ্ধতি অনুসারে বিবাহ দ গার্হস্থ্য ক্রিয়। সম্পাদন করেন, তাহারা হিন্দু বলিয়ু কেন গণ্য হুইবেন না তাহও বুঝিতে পারি না । পূৰ্ব্বে উল্লিখিত হইয়াছে যে, গো-খাদক কখনই হিন্দু বলিয়। গণ্য হইতে পারে না । ইহা যথার্থ কথা । কিন্তু আমরা জানি যে, মহারা ইংরাজী খানা খান, র্তাহাদিগের মধ্যে অধিকাংশ গো-খাদক নহেন । কোন বিশেষ হিন্দু বিলাতে গরু খাইয়াছেন কি কিনা, কিম্বা এখনও খান কি না, সে বিষয়ে আমাদিগের খানাতল্লাসী করা কৰ্ত্তব্য নহে। প্রস্তাবিত মহা হিন্দুসমিতির একটি নিয়ম এই যে, সমিতি গোয়ক্ষণে ও গোঞ্জাতির উন্নতি সাধনে যত্নবান হইবেন । এই নিয়ম জানিয়াও ষে ব্যক্তি সমিতির সভ্য হইবেন, তাহাকে গোরক্ষায় যত্নবান, অতএব গো-খাদক নহে বলিয়া লইতে চুইবে । মহা হিন্দুসমিতিতে যোগ দেওয়ার প্রতি কোন ইন্দু কোন আপত্তি করিতে পারে না, বিশেষতঃ যখন খাওয়া দাওয়ার কোন ধ্যাপার নাই । আমাদিগের সকলেরই এই কথা হৃদয়ে মুদ্রিত করিয়া রাখা কভ’ব যে, আমরা যতই লইব ততই বণচিব আর যতই ছাটিৰ ততই মরিব । ফাস্তুন, ১২৯৩ সাল, বৃদ্ধহিন্দ্র । -