পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰাজকৃষ্ণ রায়ু לג ১২৯৪ সালের মাৰামাঝি ঠনঠনিয়া ৩৮ নং মেছুয়াবাজার রোডে বীণা-কুঙ্গভূমি নিৰ্ম্মিত হয়। ৩১ অক্টোবর ১৮৮৭ (১৫ কাৰ্ত্তিক ১২৯৪ ) তারিখের পাক্ষিক “অসুসন্ধানে? প্রকাশ :– "রাজকৃষ্ণ বাবু ঠনঠনিয়া পল্লীতে নিজের একটি থিয়েটার ধূলিতেছেন , সেইহেতু অন্ত কাজে লিপ্ত থাকিবার অবসর তাহার আদৌ নাই। তজ্জন্তই বাধ্য হইয় তাহাকে‘বীণা’বন্ধ করিতে হইল।” এই সংবাদ প্রকাশের মাসখানেকের মধ্যেই বীণা-দস্তুমিত্ত্বে অভিনয় মুরু হয়। প্রথম অভিনীত হইল রাজকৃষ্ণের লিখিত নুতন পৌরাণিক নাটক ‘চন্দ্ৰহাস’ । এই অভিনয় দেখিয়া অনুসন্ধান' ১৪ ডিসেম্বর ১৮৮৭ ( ২৯ অগ্রহায়ণ ১২৯৯ ) তারিখে লেখেন :– “বীণ-রঙ্গভূমি -- কবিবর রাজকৃষ্ণ রায় বীণা-রঙ্গভূমির একমাত্র অধিকারী ও পরিচালক । সাধারণ থিয়েটারে যে যে কুরুচি আছে, তাছাই দূর করা তাহার উদেশ্ব ; সুতরাং এ থিয়েটারে বারাঙ্গন নাই,-পুরুষ দ্বারা স্ত্রী-অংশ অভিনীত হয় । আর, ইছাই এ থিয়েটারের নূতনত্ব । সংপ্ৰতি চন্দ্রগস নামক একখানি হরিভক্তিময় . নাটক ইহাতে অভিনীত হইতেছে । অভিনয় দোষশূন্য ন হইলেও, সমিতির অনেক মেম্বর অভিনয় দেখিয় বিশেষ তুষ্ট হইয়াছেন ।” বীণা-বুঙ্গভূমিতে ক্রমে ক্রমে চন্দ্রহাস, প্রহ্লাদ-চরিত্র, চরধত্বভঙ্গ, দুর্গেশনন্দিনী প্রভৃতি সাফল্যের সহিত অভিনীত হইল ! লাজকুঞ্চের এই নব প্রচেষ্টায় কোন কোন ধনী পরিবার কিছু কিছু অর্থ সাহায্য করিয়া সহানুভূতৃি দেখাইলেন । ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৮ ( ১৩ ফাল্গুন ১২৯৪ ) তারিখের ‘সুলভ সমাচার ও কুশদহে প্রকাশ :– “বাবু রাজকৃষ্ণ রায়ের বীণা রঙ্গভূমিতে রঙ্গপুর তাজহাটের জমিদার রাজা গোবিন্দলাল রায় ২৫৭২ এবং কুচবিহারের মহারাণী ২০০২ টাকা দান করিয়া রাজকৃষ্ণ বাবুকে উপকৃত করিয়াছেন।”