পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

९* রাজকৃষ্ণ স্থায় ঘটিতেছিল। এই প্রসঙ্গে ‘সুলভ সমাচার ও কুশদহ’ ৯ নবেম্বর ১৮৮৮ তারিখের পত্রে যে মন্তব্য করেন, তাছা উদ্ধৃত করিতেছি :– “সম্প্রতি আমঠু বীণ বঙ্গভূমিতে আর্য্য নাট্য সমাজ কর্তৃক সুপ্রসিদ্ধ নীলদর্পণ নাটকের অভিনয় দেখিতে গিয়ুছিলাম । বীণা রঙ্গভূমির প্রতিষ্ঠাত বাবু রাজকৃষ্ণ রায় স্বয়ং এখন অভিনয় কাৰ্য্য হইতে অবসর গ্রহণ করিয়াছিলেন । রঙ্গভূমিতে র্তাহার স্থায় একজন খাতনামা অভিনেতার অভাব বিশেষ ক্ষতিজনক ; কিন্তু আর্য্য নাট্য সমাজ যেরূপ সুখ্যাতিবু সঠিত অভিনয় করিতেছেন তা হাতে অবিচলিত অধ্যবসায় থাকিলে উঙ্গের যে রাজকঞ্চ বাবুর মহৎ উদ্বেগু৪ পূর্ণ করিতে পরিবেন সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। আজকাল সচরে বেশ্ব সংযুক্ত থিয়েটার সকলের পশার ও প্রতিপত্তি যেরূপ, তাকাতে কেবল পুরুষ অভিনেতা লইয়া স্থায়ী থিয়েটার স্থাপন করা অনেক সাহস ও বলের কার্য্য ; তfছার পথে বিস্তর বিস্তু বাধা । কিন্তু এ সকলের মধ্যেও আর্য্য নাট্য সমাজ যে কতক পরিমাণে কৃতকাৰ্য্য হইয়াছেন তাঙ্ক আমরা স্বীকার না করিয়া থাকিতে পারি ম৷ . বিখ্যাত অভিনেতা বাৰু অৰ্দ্ধেন্দুশেখর যুস্তফি আর্য্য নাট্য সমাজে যোগ দিয়াছেন । ডাছার সহায়তায় নীলদর্পণের অভিনয় যে বড়ই স্বাভাবিক হইয়াছিল তাহ বলা বাহুল্য ।” ১৮৮৮ খ্ৰীষ্টাব্দের নবেম্বর মাসে আর্য্য-নাট্য-সমা- বীণা-রঙ্গভূমি ত্যাগ করিলেন । রাজকৃষ্ণ মহাজনদের উৎপাতে উপেন্দ্রনাথ দাসকে মহিলা অভিনেত্রী সহযোগে অভিনয় করিবার জন্য বীণা-রঙ্গভূমি ভাড় দিতে বাধ্য হইলেন । ইহাতে ক্ষুণ্ণ হইয়া, ৭ ডিসেম্বর ১৮৮৮ তারিখে 'সুলভ সমাচার ও কুশদহ’ লিখিলেন :– “বাবু রাজকৃষ্ণ রায় অতি সৎ উদ্দেশ্য লইয়াই বীণ থিয়েটার স্থাপন করিয়াছিলেন, কিন্তু সাধারণের নিকট বিশেষ সহানুভূতি না