পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৪৯

*Rళు রাজকৃষ্ণ ব্রায়ু কিছু কিছু সাহায্য না করেন, তবে আর তাছার কোন আশাই নাই । তাই আজ তিনি সাধারণের নিকট কৃপাপ্রার্থী। এখন সকলেই বাহার যেমন সাধ্য, রাজকৃষ্ণ বাবুকে কিছু কিছু সাহায্য করিয়া তাছাকে বিপদ হইতে মুক্ত করেন, সাধারণের প্রতি আমাদের এই অনুরোধ। রাজকৃষ্ণবাবুর ঠিকান ৩৮ নং মেছুয়া বাজার রোড, কলিকাত । রাজকৃষ্ণ রঙ্গভূমির ঋণের দায়ে সৰ্ব্বস্বাস্ত হইলেন । ১২৯৭ সালের শেষাশেনি তাহার বড় সাধের বীণা-রঙ্গভূমি হস্তান্তরিত ইয়া গেল । তাছার শেষ দিনগুলি বড়ই দুঃখময় । এই ছুদিনে ষ্টার থিয়েটারের কর্তৃপক্ষ মালিক এক শত টাকা বেতনে তাহাকে নিজেদের গ্রন্থকার করেন (ইং ১৮৯১ ) । তিনি ষ্টার থিয়েটারে অভিনয়ের জন্তু নবুমেধ যজ্ঞ, লয়লা-মজনু, বনবীর, ঋষ্যশৃঙ্গ, বেনজীর—বদূরেমুনির রচনা করিয়াছিলেন । মৃত্যু স্বনামধন্ত রাজকৃষ্ণ জীবন-যুদ্ধে ক্ষতবিক্ষত হইয়া ২৮ ফাল্গুন ১৩০০ ( S$ शार्ह ১৮৯৪ ) তারিখে, মাত্র ৪৪ বৎসর বয়সে, পরলোক গমন করেন। তাছার মৃত্যুতে ৩০এ ফাল্গুন “অযুগন্ধান পত্র যে প্রস্তাৰ লেখেন, তাহার কয়েক পংক্তি উদ্ধৃত করতেfছ :– বঙ্গভাষা একটি বৃত্বহীন হইল-কfববর রাজকৃষ্ণ রায় আর নাই । গত ২৮এ ফাল্গুন রবিবার, দ্বি-প্রহরের সময়, আমাদিগকে পরিত্যাগ করিয়া-পুত্রপরিবারকে কাদাইয়া তিনিঃদিব্যধামে গমন করিয়াছেন । v* - অন্তরে যেন শেল বি ধিয়াছে। এমন সুহৃদ, এমন অকপট বন্ধু, এমন হিতৈষী—এমন ভাবে এত শীঘ্র আমাদিগকে ত্যাগ করিয়া যাইবেন, এ যে আমরা কখনও স্বপ্নেও ভাবি নাই ।