পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$袋 রাজকৃষ্ণ রায় নাট্যগীতি, ১৮৭৫ খ্ৰীষ্টাব্দের ৩রা ডিসেম্বর প্রকাশিত হয় ; তখনও গিরিশচন্ত্রের কোন নাট্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় নাই। প্রকৃতপক্ষে রাজকৃষ্ণকে বঙ্গালয়ে পৌরাণিক দৃশুকাব্য-যুগের প্রবর্তৃক বলা যা পারে। নাটকে ভঙ্গ অমিত্ৰাক্ষর ছন্দ : অভিনয়-সৌকর্য্যাৰ্থ বাংলা নাটকে ভঙ্গ অমিত্ৰাক্ষর ছন্দের বিরাটু সম্ভাবন উপলব্ধি কfরয়। রাজকৃষ্ণ বেঙ্গল থিয়েটারের জন্তু এই ছন্দে ‘হরধতুৰ্ভঙ্গ’ নামে একখানি পৌরাণিক দৃশ্বকাব্য রচনা করেন। আভিনয়িক ছদের উপযোগিতা বুঝাইবার জষ্ঠ গ্রন্থের ভূমিকায় তিনি যাহ। লিথিয়াছেন, তা প্রণিধানযোগ্য । ভূমিকাটি এইরূপ :– ছুই তিন জন সুদক্ষ অভিনেতার অনুরোধে পাঁচ ছয় দিনের BB gg SDDBBBBS BBBBB BBB DDB S BBBBBB অতুরোধ, নাটকখানি গদ্যে ন হইয়া পদ্যে হইলে বড় ভাল হয়, অথচ পাঁচ ছয় দিনের মধ্যে লিথিয় দেওয়াও চাই । সুতরাং এত অল্প সময়ের মধ্যে শতাধিক পৃষ্ঠার একখানি পুস্তক অলঙ্কার-শাস্ত্রসম্মত ছন্দে লিখিয়া শেষ করা যে কি পৰ্য্যস্ত দুর্ঘট, তাহ বলা বাহুল্য। এই জন্য আমি ইহার অধিকাংশ স্থলে "ভাঙা অমিত্রাক্ষর ছন্দের” দিকেই অধিকতর মনোযোগ করিয়া, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এক প্রকার অনুরোধ রক্ষা করিলাম । এ দেশে কবিবর মাইকেল মধুসূদন দত্তই প্রথমে বাঙ্গাল ভাষায় অমিত্ৰাক্ষরচ্ছদ বাহির করেন। চতুর্দশ অক্ষরে মিত্রাক্ষরিক পয়ার ছন্দ বাঙ্গালায় বহুদিন হইতে প্রচলিত, মাইকেল মধুসূদনের অমিত্রাক্ষরচ্ছদ সেই চতুর্দশটি অক্ষরেই গ্রথিত । বঙ্গ-রঙ্গ-ভূমিতে উক্ত কবির মেঘনাদবধ কাব্যখানি নাটকাকারে সজ্জিত হইয়া, সৰ্ব্বপ্রথমে অভিনীত হয় । তাহাব পূৰ্ব্বে বঙ্গদেশের কোন স্থলেই বাঙ্গালী অমিত্ৰাক্ষর ছন্দের কথাবাৰ্ত্তায় কোন নাটক অভিনীত হয়