পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাজকৃষ্ণ রায় ও বাংলা-সাহিত্য 箕 ঘোমটা খুলে, মুখটি তুলে পুকুর-ভরা জলে হেসেছিল সরোঞ্জবালা ৰুবির পানে চেয়ে । অবিৰত ঠাট্টা কত ঘোমটা নাড়া-ছলে করেছিল কুমুদীবে সুখের সময় পেন্থে । যার গরবে গরবিনী কমলিনী ধনী, এখন তো তার নাই কে দেখা, এক সুখে কঁাদে । কাজেই এখন সময় পেয়ে কচি কুমুদিনী পদ্মিনারে ঠাট্টা করে থাট্রামাথা ছাদে ॥ কুমুদিনীর কচি মুখে কচি হাসি খেলে ; কমলিনীর বুকে যেন ফুটচে বিষের শলা । বাতাস লেগে, রেগে রেগে বলছে যেন স্কুলে,— “থাকৃ লে ওলো কুমণি ছুড়ি । দেখবে সকাল বেলা ।” কবি বলে, মেয়েছেলের এক জায়গায় থেকে, এমন ক’রে ঝগড় করা সাজে কি গো –ছি ছি! তোমাদের কাছে ঝি বউড়ী ঝগড়া করা শিখে, দিবানিশি করে কেবল টেকির কচ কচি ৷ এই—সন্ধ্যে বেলায় গোপালপুরের মাঝের পাড়া ; মাজ । ছোট—মুদির দোকান একটি, তাতে বাপ বন্ধ আজ । সেই—দোকানখানির দোকানদারের নামটি গউর নাগ । তার-গড়ন ছোট, ধেটের্থেটে, গালে তিলের দাগ ॥ ভাল-গোফ জোড়াটা, বুকের পাট, হাতের গুলি মোট । তার–চক্ষু দু'টি ছোট ছোট, কিন্তু যেন ফোট । আজ—ন দিন ধ’রে জর ছ’য়েছে, কেই বা যাবে হাট ? আগঞ্জ-খদেরকে কেই বা বেচে ?—বন্ধ দোকান পাট । ছিল—যা”কিছু তার দোকানঘরে আগের হাটের কেন ।