পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ប៊ូស្ណ শতাব্দীর শেষার্থে যে-সকল বঙ্গ-মনীষী বিভ্রাস্ত বাঙ্গালীজাতিকে মাত্মস্থ হইতে উদ্বুদ্ধ করিয়াছিলেন, তাহদের মধ্যে মনোমোহন বসু একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করিয়! তাছেন । তিনি একাধারে কবি, নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, সাংবাদিক ও চিন্তাশীল লেখক । তাহার প্রতিটি চিন্তা ও কৰ্ম্মের মূল উৎস ছিল--স্বদেশ ও স্বজাতি-প্রেম। তাই তাহার লেখনী এক দিকে যেমন সে-যুগের বিপথগামী বাঙ্গালী জাড়িকে কশাঘাত করিতে দ্বিধা করে নাই, অন্য দিকে তেমনি তাহার সম্মুখে একটি মহৎ আদর্শ উপস্থাপিত করিতে সমর্থ হইয়াছিল। তখন এই আদর্শকে কার্ঘ্যে পরিণত করিবার জন্য সে যুগের বাঙ্গালীরাও সচেষ্ট হইয়াছিলেন। হিন্দুমেলায় প্রদত্ত মনোমানের জাতীয়-ভাবোধীপক ওজঃপূর্ণ বক্তৃতাবলী, হরিশ্চন্দ্র ও অন্যান্ত নাটক এবং জাতীয় সঙ্গীতানি বাং**াহিত্যের অমূল্য সম্পদ। বাঙ্গালীর জাতীয় অস্থ্যখানের ইতিহাসে ইহাদের প্রত্যেকটির স্থান সুনির্দিষ্ট । তাহার “দিনের দিন, সবে দীন, হয়ে পরাধীন। অন্নাভাবে শীর্ণ, চিন্ত জ্বরে জীর্ণ, অপমানে তযু ক্ষীণ !” সঙ্গীতটি ১৮৭৪ খ্ৰীষ্টাব্দে রচিত । ইহার পর ৭০ বৎসরেরও অধিক কাল অতীত হইয়াছে, কিন্তু যে-সব সমস্যার কথা এই সঙ্গীতটির বিষয়, আজিও তাহার সমাধাম হয় নাই । জন্ম মনোমোহনের পিতার নাম—দেবনারায়ণ বস্তু ; ওঁাহার নিবাস—২৪ পরগণার ছোট জাগুলিয়া গ্রামে । ইহার ১৬ ক্রোশ উত্তরে অবস্থিত বৰ্ত্তমান যশোহর জেলার অন্তর্গত নিশ্চিন্তপুর নামে ক্ষুদ্র