পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ః মনোমোহন বৰু ইংরেজী-শিক্ষিত বাঙ্গালীর পক্ষেও সহজ ও স্বাভাবিক ভাবে তাহার রসগ্রহণ একটু আয়াসমাধ্য ব্যাপার ছিল। সুতরাং নাটকাভিনয়ের উৎসাহ উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝি পর্য্যস্ত কৃত্রিমই ছিল। কিন্তু ঠিক এই সময়েই বাংলা দেশে নাটকাভিনয় ও নাটক-রচনার ধারায় একটা নূতনত্ব দেখা দিল । কয়েক জন অভিজাত বাঙ্গালী নাটকাদি রচনা করাইয়া নিজ ভবনে বা উদ্যানবাটিকায় তাহার অভিনয়ের ব্যবস্থা করিলেন । বাংলা নাটকের অভিনয় শহরের ন্যায় মফস্বলেও ছড়াইয়া BBB S BD DBBBSBSBBBB BBB BBBB BBB BB BB অহুভূত হইতে লাগিল । এই অভাব র্যাহার তৎকালে মোচন করিতে উদ্যোগী হইয়াছিলেন,—মনোমোহন তাহদের অন্যতম। তাহার রচিত ‘রামাভিষেক নাটক, সতী নাটক, হরিশ্চন্দ্র নাটক সে-যুগে বিলক্ষণ প্রশংসা অর্জন করিয়াছিল । এগুলি তিনি বৌবাজার বঙ্গনাট্যালয়ের কুন্ত রচনা করিলেও, মফস্বলে অনেক সখের থিয়েটারে বন্ধ বার অভিনীত হইয়াছিল । কিন্তু ধনিগৃহে অতুষ্ঠিত সখের থিয়েটারে সাধারণের অবাধ গতি ছিল না । নাটকাভিনয়দর্শনে সাধারণে যাহতে বিশুদ্ধ আমন্দ ও শিক্ষা লাভ করিতে পারে, তদুদ্দেশ্বে কলিকাতায় কটি সাধাবণ বৃক্ষালয় স্থাপিত হইল ( ডিসেম্বর ১৮৭২ ) । হিন্দুঞ্জে%, তখম বাঙ্গালীয় মনে জাতীয় ভাবের সঞ্চার করিয়াছিল । এই জাতীয় ভাবে অনুপ্রাণিত হইয়াই সাধারণ রঙ্গালয়ের উদ্যোক্তার কার্য্যক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইয়াছিলেন এবং রঙ্গালয়ের নাম দিয়াছিলেন—ম্ভাশনাল থিয়েটার বা জাতীয় নাট্যশালা। এই জাতীয়-নাট্যশালার প্রতিষ্ঠা ও উন্নতির মূলে মনোমোহনের কৃতিত্ব বড় কম ছিল না । তিনি ইহার কর্তৃপক্ষকে নান ভাবে-কখন মৌখিক, কখন বা ‘মধ্যস্থ' মারফং লিখিত পরামর্শ