পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৩৪৬

माप्नेछौश्म $3. দিতেন। তাছাদের মধ্যে মতানৈক্য উপস্থিত হইলে তিনি মধ্যন্থের কাজ করিতেন । নাট্যাভিনয় সম্পর্কে মনোমোহন যে মত পোষণ করিডেন, এ-যুগেও তাহা প্রণিধানযোগ্য। জাতীয় নাট্যশালার প্রথম সাম্বংসরিক উৎসব-সভায় তিনি একটি বক্তৃত। করিয়াছিলেন । বস্তৃতায় তিনি বলেন : ...“দুইটি বিষয়ের উল্লেখ কর। আপাততঃ অত্যন্ত আবখ্যক বোধ করিতেছি । তাহার প্রথমটী গীতের প্রসঙ্গ । আমাদের আধুনিক শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মধ্যে অনেকের এরূপ সংস্কার অাছে যে, নাট্য ভিনয়ে গানের বড় আবিষ্ণুক করে না । ইউরোপীয় রঙ্গ-ভূমিতে নাটকাভিনয়কালে গানের অভাব দেখিয়াই তাহার এই সংস্কারের বশতাপন্ন হইয়াছেন । কিন্তু ভারতবর্ষ যে ইউরোপ নয়, ইউরোপীয় সমাজ আর স্বদেশীয় সমাজ যে বিস্তর বিভিন্ন, ইউরোপীয় রুচি ও দেশীয় রুচি যে সম্যক স্বত ? পদার্থ, তাহ তাহাব! ভাবিয়া দেখেন না । যে দেশে সকল সময়ে সকল স্থানে সকল কার্য্যেই গান নইলে চলে না—জানন্দের কার্যা দূরে থাকুক, মুম্ষু ব্যক্তিকে গঙ্গার ঘাটে লইয়া যাইবার সময়েও সুস্বরের সঙ্গে হরিনাম সংকীৰ্ত্তন যে দেশে বহু কালের প্রথা-যে দেশে কালোয়াতি গান সকলে বুঝিতে পারে না বলিয়া অপর সাধারণের তৃপ্তির নিমিত্ত ধাত্রা, কবি, পাচালি, মরিচ, তর্জা, ভজন, কীৰ্ত্তন, ঢব, আখড়াই, হাফ আখড়াই, পদাবলী, বাউলের গান প্রভৃতি বহু বহু প্রকার গীতিকাব্যের প্রচলন—অধিক কি, যে দেশে দিনভিকারী ও রাত ভিকারীরাও গান ন গাইলে বেশী ভিক্ষ পায় না, সে দেশের হাড়ে হাড়ে যে সংগীতের রস প্রবিষ্ট হইয়া আছে, তাহাও কি আবার অন্য উপায়ে বুঝাইয়া দিন্তে হুইবে ? যাত্রাওয়ালার স্বভাবের ঘাড় ভাঙ্গিয় অপ্রাকৃত স’, রং, টং ইত্যাদি তামাসা দেখাইবার পরেও সহস্ৰ সহস্ৰ লোকেল ষে এত দূর চিত্তরঞ্জন করিতে সমর্থ হয়, সে কি শুদ্ধ দেশস্থ R