পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪০১

আত্মকথা সাfচ্চত্যসেবা-সম্পর্কে শরৎচন্দ্র নিজের সম্বন্ধে । বলিয়া গিয়াছেন, শরৎ-জীবনীর উপকরণ-হিসালে প্রয়োজন | ২ ভাগলপুরে আমাদের সাহিত্য-সভা যখন স্থাপিত হয় তখন আমাদের সঙ্গে শ্ৰীমান বিভূতিভূষণ ভট্ট বা তার "াদের কিছুমাত্র পরিচয় ছিল না । বোধ হয় একটা কারণ এই যে : বিদেশী এবং বড়লোক ”স্বৰ্গীয় নফর ভট্ট ছিলেন সেখানকার সবঞ্জজ । তার পরে কি করিয়া এই পরিবারের সঙ্গে আমাদের ক্রমশঃ জানা-শুনা এবং ঘনিষ্ঠত হয়, সে-সব কথা আমার ভাল ম েনাই। বোধ হয় এই জন্য যে, ধনী হইলেও ইহাদের ধনের উগ্রতা বা দাম্ভিকতা কিছুমাত্র ছিল না । এবং আমি আকৃষ্ট হইয়াছিলাম বোধ হয় এই জন্য বেশি যে, ইছাদের গৃহে দাবা-খেলার অতি পরিপাটি আয়োজন ছিল । দাব-খেলার পরিপাটি আয়োজন অর্থে বুঝিতে হইবে—খেলোয়াড়, চা, পান ও মুহুমুহু তামাক । সম্ভবতঃ এই সময়েই...শ্ৰীমান বিভূতিভূষণ • ধাদের সাহিত্য-সভার সভ্য-শ্রেণীভুক্ত হন । আমি ছিলাম ভাপতি, কিন্তু আমাদের সাহিত্য-সভায়.গুরুগিরি করিবার অবসর অথবা প্রয়োজন আমার কোন কালেই ঘটে নাই । সপ্তাহে একদিন করিয়া সভা বসিত এবং অভিভাবক গুরুজনদের চোখ এড়াইয়া কোন একটা নির্জন মাঠের মধ্যেই বলিত । জানা আবশ্যক যে সে-সময়ে সে দেশে সাহিত্য-চৰ্চা একটা গুরুতর অপরাধের মধ্যেই । গণ্য ছিল । এই সভায় মাঝে মাঝে.কবিতা পাঠ করা হইত ।