পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আত্মকথা סג লয়, মাসিকে সাপ্তাহিকে সমালোচনা লেখা নয়, এ পণ্ডিতের কাছে মুখোমুখি দাড়িয়ে প্রতিদিন পরীক্ষা দেওয়া । সুতরাং অসঙ্কোচে বলা চলে যে, সাহিত্যের সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ঘটলো চোখের জলে । তার পরে বহু দুঃখে আর একদিন সে মিয়াদও কাটলে । তখন ধারণাও ছিল না যে, মানুষকে ছুঃখ দেওয়া ছাড়া সাহিত্যের আর কোন উন্ধেশ্ব আছে । যে পরিবারে আমি মাতুষ, সেখানে কাব্য উপন্যাস সুনীতির মামান্তর, সঙ্গীত অস্পৃশ্য ; সেখানে সবাই চায় পাস করতে এবং উকীল হতে , এরি মাঝখানে আমার দিন কেটে চলে। কিন্তু হঠাৎ একদিন এর মাঝেও বিপৰ্য্যয় ঘটলো । আমার এক আত্নীয় তখন বিদেশে থেকে কলেজে পড়তেন, তিনি এলেন বাড়ী । তার ছিল সঙ্গীতে অনুরাগ ; কাব্যে আসক্তি ; বাড়ীর মেয়েদের জড় ক’রে তিনি একদিন পড়ে শুনালেন রবীন্দ্রনাথের ‘প্রকৃতির প্রতিশোধ'। কে কতটা বুঝলে জানিনে, কিন্তু যিনি পড়ছিলেন তার সঙ্গে আমার চোখেও জল এলে । কিন্তু পাছে দুৰ্ব্বলত। প্রকাশ পায়, এই লজ্জায় তাড়াতাড়ি বাইরে চলে এলাম । কিন্তু কাব্যের সঙ্গে দ্বিতীয় বার পরিচয় ঘটলো, এবং বেশ মনে পড়ে এইবারে পেলাম তার প্রথম সত্য পরিচয় । এর পরে এ বাড়ীর উকীল হবার কঠোর নিয়ম-সংযম আবু ধাতে সইল না ; আবার ফিরতে হলে আমাদের সেই পুরনো পল্পীভবনে । কিন্তু এবার অার বোধোদয় নয়, বাবার ভাঙা দেরাজ থেকে খুজে বের করলাম ‘হরিদাসের গুপ্ত কথা’, আর বেরোলো ভবানী পাঠক ! গুরুজনদের দোষ দিতে পারিনে, স্কুলের পাঠ্য তো নয়, ওগুলো বদছেলের অপাঠ্য পুস্তক । তাই পড়বার ঠাই করে নিতে হলে আমাকে