পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* & 0 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় রন্ধন হইতে ফিরিয়া শরৎচন্দ্ৰ বাজে-শিবপুরে অবস্থিতি করিতে। তিনি ১৯১৯ খ্ৰীষ্টান্সে শহরের কোলাহল তক্টতে দূরে থাকিবার অভিপ্ৰ এগার শত টাকা দিয়া হাওড়া জেলার অন্তর্গত বৰ্ত্তমান পানিরাস গ্রাম বড়দিদি অমিলা দেবীর বাটীর সন্নিকটে, এক খণ্ড জমি ক্রয় করেন। রূপনারায়ণের তীরে নির্মিত ( ইং ১৯২৫) মিরাল পল্লী-আবাস শরৎচন্দ্রের বহু দিন কাটিয়াছে। শেষ জীবনে জীবন-সঙ্গিনী হিরন্ময়ী দেবীর ইচ্ছায় তিনি কলিকাতায় বর্তমান অশ্বিনী দত্ত রোডে একটি বাটী নিৰ্ম্মাণ করিয়াছিলেন (জুলাই ১৯৩৪ ) । গ্রন্থপঞ্জী শরৎ-সাহিত্যের পঠন-পাঠন দিন দিন বাড়িতেছে ; হার গ্রন্থগুলি নানা ভাষায় অনূদিত হইতেছে। রঙ্গালয় ও সিনেমাগুলিতেও তাহার গল্প-উপন্যাস নাট্যাকারে রূপান্তরিত হইয়া প্রদর্শিত হইতেছে । শরৎচন্দ্রের কোন রচনা কবে কোথায় প্রথম প্রকাশিত , তাহার নির্দেশ সহ তাহার রচিত গ্রন্থগুলির একটি কালা মক তালিকা সঙ্কলন করিয়া দিলাম। শরৎচন্দ্রের অনেকগুলি পুস্তকের প্রথম সংস্করণে পকাশকাল আদৌ মুদ্রিত হয় নাই ; মেঞ্চ গুলিতে কেবল সালের উল্লেখ আছে-মাসের উল্লেখ নাই। তালিকায় বন্ধনীমধ্যে পুস্তকের সন-তারিখযুক্ত যে ইংরেজী প্রকাশকাল দেওয়া হইয়াছে, সেগুলি বেঙ্গল লাইব্রেরি-সঙ্কলিত মুদ্রিত পুস্তকের তালিকা হইতে গৃহীত। একই বৎসরে প্রকাশিত একাধিক পুস্তকের ক্রম-নির্ণয়ে এই ইংরেজী তারিখগুলি অপরিহার্যা ।