পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-স্মৃষ্ট্রি সম্বন্ধে শরৎচন্দ্রেক বক্তব্য 母臀 মম্ব হয়, হিন্দুসমাজ স্বর্গে যায় কি রসাতলে যায়, এ মীমাংসার দায়িত্ব আমার উপরে নাই । রমার মত নারী ও রমেশের মত পুরুষ কোন কালে, কোন সমাজেই দলে দলে ঝণকে ঝাকে জন্মগ্রহণ করে না উভয়ের সম্মিলিত পবিত্র জীবনের মহিমা কল্পনা করা কঠিন নয় । কিন্তু হিন্দু-সমাজে এ সমাধানের স্থান ছিল না। তার পরিণাম হ’ল এই যে, এত বড় দু'টি মহাপ্রাণ নর-নারী এ জীবনে বিফল, ব্যর্থ, পঙ্গু হয়ে গেল। মানবের রুদ্ধ হৃদয়দ্বারে বেদনার এই বার্তাটুকুই যদি পৌছে দিতে পেরে থাকি, ত তার বেশী আর কিছু করবার আমার নেই। এর লাভালাভ খতিয়ে দেখবার ভার সমাজের, সাহিত্যিকের নয়। ব্লমার ব্যর্থ জীবনের মত এ রচনা বর্তমানে ব্যর্থ হ’তে পারে, কিন্তু ভবিষ্যতের বিচারশালায় নির্দোষীর এত বড় শাস্তিভোগ একদিন ছুতেই মঞ্জুর হবে না, এ কথা আমি নিশ্চয় জানি । এ বিশ্বাস না থাকলে সাহিত্য-দেবীর কলম সেইখানেই সে দিন বন্ধ হ’য়ে যেত । আগেকার দিনে বাঙ্গাল সাহিত্যের বিরুদ্ধে আর য। নালিশই থাকৃ, দুর্নীতির নালিশ ছিল না, ওটা বোধ করি তখনও খেয়াল হয় নি। এটা এসেছে হালে। রা বলেন, আধুনিক সাহিত্যের সব চেয়ে বড় অপরাধই এই যে, তার নর-নারীর প্রেমের বিবরণ অধিকাংশই দুনীতিমূলক, এবং প্রেমেরই ছড়াছড়ি। অর্থাৎ নানা দিক্ দিয়া এই জিনিসটাই যেন মূলত: গ্রন্থের প্রতিপাদ্য বস্তু হ’য়ে উঠেছে । নেহাৎ মিথ্যা বলেন না। কিন্তু তার দুই একটা ছোট খাট কারণ থাকূলেও মূল কারণটাই আপনাদের কাছে বিবৃত করতে চাই । সমাজ জিনিসটাকে আমি মামি, কিন্তু দেবতা বলে