পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

孪y শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মানি লে। বহুদিনের পুঞ্জীভূত, নর-নারীর বহু মিথ্যা, ৰন্থ কুসংস্কার, বহু উপদ্রব এর মধ্যে এক হ’য়ে মিশে আছে। মাহুষের খাওয়া-পরা থাকার মধ্যে এর শাসনদণ্ড অতি সতর্ক নয়, কিন্তু এর একান্ত নির্ধর মূৰ্ত্তি দেখা দেয় কেবল নর-নারীর ভালবাসাৰ বেলায়। সামাজিক উৎপীড়ন সব চেয়ে সইতে ঃ - এইখানে মানুষ একে ভয় করে, এর বশ্যতা এ করে, দীর্ঘদিনের এই স্তুপীকৃত ভয়ের সমষ্টিই আইন হ'য়ে উঠে, এর থেকে রেহাই দিতে সমাজ ৫ পুরুষের তত মুস্থিল নেই, তার ফঁাকি দেবার রাস্তা থেষ্ট্ৰ আছে, কিন্তু কোথাও কোন স্বত্রেই যার নিষ্কৃতির পথ নেই, সে শুধু নারী। তাই সতীত্বের মহিমা প্রচারই হ’য়ে উঠেছে বিশুদ্ধ সাহিত্য । কিন্তু এই এক ভরসা, propaganda চালানোর কাজটাকেই নবীন সাহিত্যিক যদি তার সাহিত্য-সাধনার সর্বপ্রধান কৰ্ত্তব্য ব’লে গ্রহণ করতে না পেরে থাকে, ত তার কুৎসা করা চলে না ; কিন্তু কৈফিয়ুতের মধ্যেও যে তার যথার্থ চিন্তার বস্তু বহু নিহিত অাছে, এ সত্যও অস্বীকার করা যায়ু না • • • পরিপূর্ণ মহন্যত্ব সতীত্বের চেয়ে বড়, এই কথাটা এক। আমি বলেছিলাম। কথাটাকে যৎপরোনাস্তি নোঙরা ৯.র তুলে আমার বিরুদ্ধে গালি-গালাজের আর সীমা রইল না । মানুষ হঠাৎ যেন ক্ষেপে গেল। অত্যন্ত সতী নারীকে আমি চুরী, জুয়াচুৰী, জাল ও মিথ্য সাক্ষ্য দিতে দেখেছি এবং ঠিক এর উল্টাটা দেখাও আমার ভাগ্যে ঘটেছে। এ সত্য নীতিপুস্তকে স্বীকার কৰাৰ আবশ্বকতা নেই। কিন্তু বুড়ে ছেলেমেয়েকে গল্পস্থলে যদি এই নীতিকথা শেখানোর ভার সাহিত্যকে নিতে হয়, ত আমি বলি,