পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{& শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হাওড়া জিলা-কংগ্রেস-কমিটির সভাপতিরূপে কাৰ্য্য করিয়াছিলেন। বাংলার এই শ্রেষ্ঠ কথাসাহিত্যিক রাজনৈতিক আন্দোলনের আবর্ত্তে কেন বাপাইয়া পড়িয়’ছিলেন, দেশের মুক্তি-আন্দোলন সম্বন্ধে কি আদর্শ তিনি পোষণ করিতেন এবং কেনই বা তিনি অবশেষে এ দেশের তথাকথিত রাজনৈতিক আন্দোলনের উপর বিরূপ হইয়া হাওড়া কংগ্রেস-কমিটির সভাপতিত্ব পদ পরিত্যাগ ক:িছলেন, এ সমস্ত কথা আলোচনা না করিলে শরৎচন্দ্রকে সম্যকৃরূপে বুঝিতে পারা যাইবে না। রাজনীতি সম্বন্ধে তাহার দৃষ্টিভঙ্গি কিরূপ ছিল, বহু প্রবন্ধে নিজস্ব অনচুকরণীয় সরস ভঙ্গিতে তিনি তাহা ব্যক্ত করিয়া গিয়াছেন। দুঃখের বিষয়, এ সম্বন্ধে পুস্তকাকারে প্রকাশিত র্তাহার রচনার সংখ্যা মুষ্টিমেয়। স্বদেশ ও সাহিত্যের ‘স্বদেশ ভাগে তাহার মাত্র কয়েকটি রাজনৈতিক প্রবন্ধ স্থান পাইয়াছে। হার তরুণের বিদ্রোহ"ও এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য। নারায়ণে প্রক "মহাত্মাজী” ও বঙ্গবাণী'তে পুনর্মুদ্রিত "মুসলমান সমাজ" নামক প্রবন্ধ দুইটি পুস্তকাকারে প্রকাশিত না হইলেও পাঠক-সমাজের ক্ষে ছুরধিগম্য নছে । কিন্তু অন্যান্স সাময়িক পত্রিকায় তাহার যে সম রাজনৈতিক প্রবন্ধ প্রকাশিত হইয়াছিল, তাহার সন্ধান অনেকে শখেন না এবং ক্রমেই সেগুলি দুপ্রাপ্য হইয়া উঠিতেছে । সেই জন্তই আমরা এই শ্রেণীর রচনাগুলি যথাসম্ভব সংগ্ৰহ করিয়া পরিশিষ্টে পুনর্মুদ্রিত করিলাম। ইহার মধ্যে কোন কোনটি সাহিত্যে স্থায়ী আসন লাভ করিবাবু যোগ্য, তাছাতে রাজনীতি বিষয়ে শরৎচন্দ্রের দূরদৃষ্টির পরিচয় পাইয়া বিশিত ছইতে হয় । তাহার যাবতীয় রাজনৈতিক প্রবন্ধ একত্রে সংগৃহীত হইয়া প্রকশিত হইলে তাহ বাংলা মনন-সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করিবে ।