পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জয়মাল্য শরৎচন্দ্র তাহার দেশবাসীর যে শ্রদ্ধা ও ঐতি অর্জন করিয়াছিলেন, অল্প সাহিত্যিকেরই সে সৌভাগ্য ঘটে। দেশের অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠানগুলিও র্তাহাকে সম্মান প্রদর্শন করিতে ক্ৰটি করে নাই । ১৯২৩ খ্ৰীষ্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাহাকে জগত্তারিণী সুবর্ণপদক প্রদান করেন। পূৰ্ব্ব-বারে (ইং ১৯২১) এই পদক রবীন্দ্রনাথকেই সৰ্ব্বপ্রথম দেওয়া হয় । ১৯৩৪ খ্ৰীষ্টাব্দে শরৎচন্দ্র বঙ্গীয়-সাহিত্য-পরিষদের বিশিষ্ট সদস্ত নিৰ্বাচিত হন । ১৯৩৬ খ্ৰীষ্টাব্দের সমাবৰ্ত্তন-উৎসবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তঁাস্থাকে ডি. লিট্‌ বা সাহিত্যাচাৰ্য্য উপাধিতে ভূষিত করেন। সাহিত্যক্ষেত্রে তিনি রবীন্দ্রনাথকে গুরু বলিয়া স্বীকার বা তেন। রবীন্দ্র-রচনাকে তিনি আদর্শ করিয়াছিলেন । কবির প্রতি যে শ্রদ্ধা তিনি পোষণ করিতেন, তাহা ব্যর্থ হয় নাই । কবি-প্রদত্ত জয়মাল্য তিনি পাইয়াছিলেন । ১৩৪৩ সালের ২৫এ আশ্বিন তারিখে রবিবাসর কর্তৃক অনুষ্ঠিত শরৎচন্দ্রের জন্মোৎসব উপলক্ষে রবীন্দ্রনাথ তাহাকে অভিনন্দিত করেন। নিয়ে সেই অভিনন্দনের কিয়দংশ উদ্ধৃত سي قة ج কল্যাণীয় শরৎচন্দ্ৰ—তুমি জীবনের নির্দিষ্ট পথের প্রায় দুইতৃতীয়াংশ উত্তীর্ণ হয়েছ। এই উপলক্ষ্যে তোমাকে অভিনন্দিত করবার জন্তে তোমার বন্ধুবর্গের এই তামন্ত্রণ-সভা । বয়স বাড়ে, আয়ুর সঞ্চয় ক্ষয় হয়, তা নিয়ে আনন্দ করবার কারণ নেই । আনন্দ করি যখন দেখি জীবনের পরিণতির সঙ্গে জীবনের দানের পরিমাণ ক্ষয় হয় নি । তোমার সাহিত্যরসপত্রের নিমন্ত্রণ আজও রয়েছে উন্মুক্ত, অকৃপণ দাক্ষিণ্যে ভরে উঠবে তোমার