পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“sg

শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় হীরা মাণিক ওঠে তা যদি বুঝিত, তাহা হইলে অত সহজে ওখান ছাড়িতে চাহিত না । শেষে হয়ত একদিন আপশোষ করিবে কি ব্ৰত্বই হাতে পাইয়াও ত্যাগ করিয়াছে! আমার কাছে সে উপসংহার কি হইবে জানিতে চাছিয়াছে । আমার উপরে যাহার ভরসা নাই অবশ্য সে ওরকম প্রথম নভেল প্রথম কাগজে বাহির করিতে দ্বিধা করিবে আশ্চর্য্যেত্ব কথা নয়, কি নিজেই তাহার বলিতেছে চরিত্রহীনের শেষ দিকূট (অর্থাৎ ট্রে তার পরে আর ততটা ) রবিবাবুর চেয়েও ভাল হইয়াছে ( style এবং চরিত্র বিশ্লেষণে ) তবুও তাদের ভয় পাছে শেষটা বিগড়াইয়। ফেলি । তারা এটা ভাবে নাই যে, লোক ইচ্ছা করিয়া একটা “মেসের ঝি”কে আরম্ভেই টানিয়া আমিয়া লোকের সুমুখে হাজির করিতে সাহস করে, সে তার ক্ষমতা জানিয়াই শরে । তাও যদি না জানিব তবে মিথ্যাই এতটা বয়স তোমাদের গিরি করিলাম । আর এক কথা—প্রমথ বলিতেছে, ভারতবর্ষকে যেন নিজের কাগজ বলিয়া মনে করি—এবং সেইরূপ করি । কমি প্রমথকে কথা দিয়াছি আমার সাধ্যমত করিব, কিন্তু সাং কতটুকু তাহ বলি নাই । আরো এক কথা—তাছার দাম লেখা ক্রয় করিবে—তখন তাছাদের অভাব হইবে না, কিন্তু দাম দিলেই যে সকলের লেখাই পাওয়া যায় না, এইটা তাহারা আমার সম্বন্ধে এইবার বোধ করি বুঝিয়াছে। যাই হোক—চরিত্রহীন আমার হাতে আসিয়া পড়িলেই ফণীকে পাঠাইয়া দিব । আমার হাতে ; আর রাখিব না। তবে প্রমথ ফণীর হাতে সেটা দিবে না, কেন না, কণীর উপর তাহারী কিছু রাগিয়া গিয়াছে। তা হয় । কারণ, মাসিক পত্রের পরিচালকের পরস্পরকে দেখিতে পারে না । আৰু