পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

}rir শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় চরিত্রহীনের জন্তু প্রমথ ক্রমাগত তাগিদ দিতেছিল, কিন্তু শেষের তাগিদ এরূপ ভাবে দাড়াইয়াছিল যে বুঝি বা আজন্মের বন্ধুত্ব যায়। সেই ভয়ে তাকে আমি চরিত্র “ড়িতে পঠাইয়াছি । অবশ্য কি তাছার মনের ভাব ঠিক বুঝি না, কিন্তু আমার মনের ভাব তাছাকে বেশ সুস্পষ্ট করিয়া লিখিয়া দিয়াছি। এখন তাহার নিকট হুইতে জবাব পাই নাই। পাইলে লিখিব। আমার এবং * আপনার মধ্যে একটা স্নেহের সম্বন্ধ অতি প্রগাঢ় । আমার বয়স ১ইয়াছে-এই বয়সে যাহা হয় তাহাকে ইচ্ছামত নষ্ট করি না । কেন আপনি আমার সম্বন্ধে মিথ্য উদ্বিগ্ন হন। যমুনা’র উন্নতি আমার সকলের চেয়ে বেশী লক্ষ্য, তার পরে আর কিছু। চরিত্রহীন সেই ফুক লেখা হইয়াই আছে—কি হবে তাও জানি না, কবে শেষ হবে তাও বলতে পারি না ! চন্দ্রনাথটা যাতে এ বৎসরে ভাল হয়ে বার হয় তার চেষ্টা করতেই হবে--কঠুণ সেটা already প্রকাশ করা হয়েছে। এ বৎসর যাতে যমুনা অপেক্ষাকৃত প্রসিদ্ধি । লাভ করতে পারে, তারই চেষ্ট সব চেয়ে দরকার। তার পরে অর্থাৎ পর বৎসর আকারটা আরো বৃদ্ধি করে দেওয়া । এ বৎসর গ্রাহক কত ? গত বৎসরের চেয়ে কম না বেশী লিখবেন। আমি যদি অল্প কাগজে লিখে নামটা আরো প্রচার করতে পারতাম তা হলে "যমুনা’র সম্বন্ধে উপকার ছাড়া অপকার হত না, কিন্তু অসুখের জন্ত লিখতেই পারি না এবং তাহ হবেও না । তাড়াতাড়ি করলে হবে না ফণীবাবু, স্থির হয়ে বিশ্বাস রেথে অগ্রসর হতে হবে । আমি বরাবরই আপনার কাজে লেগে থাকব—কিন্তু, আমার ক্ষমতা বড়ই কম হয়ে গেছে । খাটতে পাব্লিনে। আর একটা সমালোচনা লিখচি—দু-তিন দিনেই শেষ হবে। ঋতেন্দ্র