পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৪৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

retr শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তবে যদি কোথাও কেহ ছাপে এই মনে করিয়াছিলাম । বিশেষ, তাহাতে গোড়াতেই যে সকল শ্লেস ছিল, সে সকল যে কোম মতেই আপনার কাগজে স্থান পাইতে পারে না, সে ত জানা কথা । তবে, অপর কোন কাগজের ভয়ত সে আপত্তি না থাকিতেও পাংে এই ভরসা করিয়াছিলাম। সেই জন্যই আপনার মারফতে পাঠানে । যদি বলেন ত আরও লিখি—আরও অনেক কথা বলিবার রহিয়াছে। তবে ব্যক্তিগত শ্লেষ বিদ্রুপ ঐ পর্য্যন্তই। তবে শেষ পর্য্যন্ত সব কথাই সত্য বলা হইবে , , আমার নামটা যেন কোন মতেই প্রকাশ না পায় । অবশ্ব শ্ৰীকান্তর আত্নকাহিনীর সঙ্গে কতকটা সম্বন্ধ ত থাকিবেই, তা ছাড়া ওটা ভ্রমণই বটে। তবে ‘আমি ‘আমি নেই। অমুকের সঙ্গে শেকস্থাগু করিয়াছি, অমুকের গা ঘেষিয়া বসিয়াছি—এসব নেই।. রবিবাবু নিজের আত্নকাহিনী লিখিয়াছিলেন, কিন্তু নিজেকে কেমন করিয়াই ন সকলের পিছনে ফেলিবার সফল চেষ্টা করিয়াছেন । যাহারা লিখিতে জানে না, অর্থাৎ যাহাদের লেখার পরখ হয় নাই, তা তাহারা যত বড় লোকই হোক, না জা" ; তাহাদের দীর্ঘ লেখা ছাপিবার অনেক দুঃখ । ইহারা মনে সব কথাই বুঝি বল চাইষ্ট । যা দেখে, যা শোনে, যা হয়, মনে করে সমস্তই লোককে দেখান শোনান দরকার । যা ছবি আঁকিতে জানে না, তারা যেমন তুলি হাতে করিয়া মনে করে, যা চোখের সামনে দেখি সবই আঁকিয় ফেলি। কিন্তু দীর্ঘ অভিজ্ঞতায় সেই শেষে টের পায়, মা, তা নয়। অনেক বড় জিনিস বাদ দিতে হয়, অনেক বলিবার লোভ সম্বরণ করিতে হয়--তবে ছবি হয় । বলা বা তাকার চেয়ে না বলা, না তাক ঢের শক্ত । অনেক আত্মসংযম