পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮌ 88 শরৎচন্দ্র চটে:প য় বলতে পারি, তোমরা দৃঢ়পণে সত্যাশ্রয়ী হও । তার প্রশ্ন করেন, এ ক্ষেত্রে সত্য কি ? বিভিন্ন মতামত ও প্রোগ্রাম যে আমাদের উদূত্রাস্ত করে দেয় । জবাবে আমি বলি, সত্যের কোনো শাশ্বত সংজ্ঞা আমার জানা নেই । দেশ কাল ও পাত্রের সম্বন্ধ বা relation দিয়েই সত্যের যাচাই হয় । দেশ কাল পাত্রের পরস্পরের সম্বন্ধের সত্যজ্ঞ মই সত্যের স্বরূপ । একের পরিবর্তনের সঙ্গে অপরের পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী। এই পরিবর্তন বুদ্ধিপূৰ্ব্বক মেলে নেওয়াই সত্যকে জানা । যেমন বহু পূৰ্ব্বকালে রাজাই ছিলেন ভগবানের প্রতিনিধি । দেশের লোকে এ কথা মেনে নিয়েছিলো ! একে অসত্য বলতে আমি চাই নে। সেই প্রাচীন স্থা হয় ত এই সত্য ছিল, কিন্তু আজ জ্ঞান ও পারিপাশ্বিকের পরিবস্তু, ফলে এ কথা যদি ভ্রান্ত বলেই প্রমাণিত হয়, তবুও কোন এক বক দিনের যুক্তি ও উক্তি মাত্রকেই অবলম্বন করে একেই সত্য ব েযদি কেউ তর্ক করে, তাকে আর যাই কেন না বলি, “সত্যাশ্রয়ী’ লবে না । কিন্তু শুদ্ধমাত্র মানাই এর সবটুকু নয়,—বস্তুতঃ, আর এ কৃ দিয়ে কোন সার্থকতাই এর নেই—যদি না চিন্তায়, বাকে ব্যবহারে, জীবনযাত্রার পদে পদে এ সত্য বিকশিত হয়ে ওঠে । ভুল জানা, ভ্রান্ত ধারণা, বরঞ্চ সেও ভালো, কিন্তু ভিতরের জন ও বাইরের আচরণে যদি সামঞ্জস্য না থাকে,--অর্থাৎ যদি ং নি একরকম, বলি আর একধুকম,—তবে জীবনের এতবড় ব্যর্থত, এতবড় ভীরুতা আর নেই। যৌবন-ধৰ্ম্মকে এতখানি ছোট করতে আর দ্বিতীয় কিছু নেই । চুৎমার্গ, জাতিভেদ, খদ্ধর পরিধান, জাতীয় শিক্ষা, দশের কাজ–এ সব সত্য কি অসত্য, ভাল কি মন্দ, এ আলোচনা আমি করবে না, এর সত্যাসত্য বুঝিয়ে দেবার আমার চেয়ে