পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

》8も শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষার কথাগুলোর সঙ্গে আমার পরিচয় আছে । আমি তাদের নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে আনন্দের সঙ্গে ছুটে এসেছিলাম শুধু এই কথাটাই জানতে যে, তাদের হাতেই দেশের সমস্ত ভাল মন্দ নির্ভর করে, এই সত্যটা যেন তারা সকল অস্তুর দিয়ে উপলব্ধি করে। অথচ, এই পরম সত্যটাকে বোঝবার পথে তাদের কতই না বাধা । কত আবরণই না তৈরী হয়েছে তাদের দৃষ্টি থেকে একে ঢেকে রাখবার জন্তে । আর তোমরা, যাদের বয়স আরও কম, তাদের বাধার তো আর অস্ত নেই । বাধ যারা দেয়, তারা বলে, সকল সত্য সকলের জানবার অধিকার নেই । এই যুক্তিটা এমনি জটিল যে, না বলে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়াও যায় শ, ষ্টা বলেও সম্পূর্ণ মেনে নেওয়া যায় না। আর এইখানেই তাদের জেম্বর । কিন্তু এমল ক’রে এ বস্তুর মীমাংস হয় না । হয়ও নি। সৰ্ব্বদেশে, সৰ্ব্বকালে প্রশ্নের পরে প্রশ্ন এসেছে ;-আধিকারিভেদের তর্ক উঠেছে, শেষে বয়স ছেড়ে মাহুষের ছোট বড়, উচু-নীচু অবস্থার দোহাই দিয়ে মানুষকে মাচুর্য জ্ঞানের দাবী থেকেও বঞ্চিত করে রেখেচে । তোমরাও এমনি তোমাদের জন্মভূমি সম্বন্ধে মেক তথ্য অনেক জ্ঞান থেকেই বঞ্চিত হয়ে আছ । সত্য সম্বাদ পেলে পাছে তোমাদের মন বিক্ষিপ্ত হয়, পাছে তোমাদের ইস্কুল-কলেজের পড়ায়, পাছে তোমাদের একৃজামিনে পাশের পরম বস্তুতে আঘাত লাগে, এই আশঙ্কার মধ্যে দিয়েও তোমাদের দৃষ্টিরোধ করা হয়, এ খবর হয় ত তোমরা জানতেও পার মা । যুব-সমিতির সম্মিলনে এই কথাটাই আমি সকলের চেয়ে বেশি করে বলতে চেয়েছিলাম । বলতে চেয়েছিলাম তোমাদেৱ