পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা চতুর্থ খণ্ড.pdf/৫৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*他卧 শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কর ; আবার কেউ বা বলছেন, এতগুলি উর্দু ' কথা ব্যবহার কর । এটা একেবারে অকারণ,-যেমন ছোট ছেলে হাতে ছুরি পেলে বাড়ীর সমস্ত জিনিষ কেটে বেড়ায়, এ-ও সেইরূপ । তার পর এত বড় অবিচার যে আমাদের–হিন্দুদের উপর হোল, এ তারা জেনেও নীরব হয়ে রইলেন-এইটাই সকলের চেয়ে দুঃখের কথা । এটা কি তারা বোঝেন না যে, এই যে বিষ, এই যে ক্ষোভ হিন্দুদের মনের মধ্যে জমা হয়ে রইল—একদিন না একদিন তা রূপ পাবেই ; তার যে একটি প্রতিক্রিয়া আছে, এও কি তারা ভাবেন না । এ রকম করে ত আর একটা দেশ চলতে পারে না, একটা জাতি বাঁচতে পারে না-এটাও ত তাদের জন্মভূমি। দেখুন, কেবল দিলেই হয় না,—গ্রহণ করার, বলবার শক্তিও একটা শক্তি। আজ যদি তারা মনে করেন যে, বৃটিশ গবর্ণমেণ্ট ঢেলে দিলেন বলেই তাদের পাওয় কাল-একদিন টের পাবেন, এত বড় ভুল আর নেই। আমি আমার মুসলমান ভায়েদের বলচি, তে রা সংস্কৃতির উপর নজর রেখো, সাহিত্যের উপর নজর রেখে আর ছোট ছেলের মত ধারালে ছুরী হাতে পেয়েছ বলে সব কেটে ফেলো মা ! অামার মতে অন্যায় স্বীকার করতে নেই, যথাস’ প্রতিকার করতে হয় ; তাই দিয়েই মানুষ মানুষ হ’য়ে এই যে অন্তায়টা আমাদের উপর হয়েছে, তার প্রতিকার করতেই হবে ; . যদি না পারি, তা হলে দশ বৎসর পরে—বাঙ্গালী আজ যা নিয়ে । গৌরব করছে—তার আর কিছুই থাকবে না। তাই আমার ক্ষুদ্র শক্তিতে যতখানি পারি এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করবো ; কারণ, ' এই অন্যায় যদি চলতে দেওয়া হয়, তবে দেশে না হিন্দুর, না মুসলমানের, না কারো কখন মঙ্গল হবে * • এলবার্ট হলে সাম্প্রদায়িক নিৰ্দ্ধারণের প্রতিবাদকল্পে অঙ্গুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বস্তৃতা । [ 'ৰাতায়ন, ১৫ শ্রাবণ ১৩৪৩ ]