পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

þr ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বীরসিংহে কতিপয় দিবস অতিবাহিত করিম, তর্কভূষণ মহাশয়, জ্যেষ্ঠ পুত্র ঠাকুরদাসকে দেখিবার জন্য, কলিকতা প্রস্থান করিলেন। ঠাকুরদাসের আশ্রয়দাতার মুখে, তীয় কষ্টসহিষ্ণুতা প্রভৃতির প্রভূত পরিচয় পাইয়া, তিনি যথেষ্ট আশীৰ্ব্বাদ ও সবিশেষ সম্ভোষ প্রকাশ করিলেন। বড়বাজারের দুয়েহাটায়, উত্তররাষ্ট্ৰীয় কায়স্থ ভাগবতচরণ সিংহ নামে এক সঙ্গতিপন্ন ব্যক্তি ছিলেন। এই ব্যক্তির সহিত তর্কভূষণ মহাশয়ের বিলক্ষণ পরিচয় ছিল।.ঠাকুরদাসকে সিংহ মহাশয়ের আশ্রয়ে রাখিয়া, বীরসিংহে প্রতিগমন করিলেন । এই অবধি, ঠাকুরদাসের আহারক্লেশের অবসান হইল। যথাসময়ে আবশ্যকমত, দুই বেলা আহার পাইয়া, তিনি পুনর্জন্ম জ্ঞান করিলেন। এই শুভ ঘটনা দ্বারা, তাহার যে কেবল আহারের ক্লেশ দূর হইল, এরূপ নহে; সিংহ মহাশয়ের সহায়তায়, মাসিক আট টাকা বেতনে এক স্থানে নিযুক্ত হইলেন। ঠাকুরদাসের আট টাকা মাহিয়ানা হইয়াছে, এই সংবাদ শুনিয়া তদীয় জননী দুর্গাদেবীর আহলাদের সীমা রহিল না। এই সময়ে, ঠাকুরদাসের বয়ঃক্রম তেইশ চব্বিশ বৎসর হইয়াছিল। অতঃপর তাহার বিবাহ দেওয়া আবশ্বক বিবেচনা করিয়া, তর্কভূষণ মহাশয় গোঘাটনিবাসী রামকান্ত তর্কবাগীশের দ্বিতীয় কন্যা ভগবতী দেবীর সহিত, তাহার বিবাহ দিলেন। এই ভগবতী দেবীর গর্ভে আমি জন্মগ্রহণ করিয়াছি।” ছাত্র-জীবন ঈশ্বরচন্দ্র স্বলিখিত জীবন-চরিতে তাহার বাল্যশিক্ষা সম্বন্ধে এইরূপ লিখিয়া গিয়াছেন –