পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శీత झेषबक्रक दिछांभांशंद्र এই সকল চিঠিপত্রের মধ্যে আমরা বিদ্যাসাগরেয় চরিত্রের আরও ঘনিষ্ট পরিচয় পাই । বিদ্যাসাগর সম্পর্কে বলিতে গিয়া রবীন্দ্রনাথ তাহার স্বগ্রসিদ্ধ ‘বিদ্যাসাগর-চরিতে'র উপসংহারে যে-কয়েকটি কথা বলিয়াছিলেন, সৰ্ব্বাগ্রে তাহাই মনে পড়িতেছে,— “তিনি গতানুগতিক ছিলেন না,তিনি স্বতন্ত্র,সচেতন,পারমার্থিক ছিলেন ; শেষ দিন পর্যন্ত স্তাহার জুতা তাহার নিজেরই চটি জুতা ছিল। আমাদের কেবল আক্ষেপ এই যে, বিদ্যাসাগরের বস্ওয়েল কেহ ছিল না, তাহার মনের তীক্ষ্ণতা, সবলতা, গভীরতা ও সহৃদয়ত৷ তাহার বাক্যালাপের মধ্যে প্রতি দিন অজস্র বিকীর্ণ হইয়া গেছে, অন্ত সে আর উদ্ধার করিবার উপায় নাই। বস্থওয়েল না থাকিলে জনৃদনের মহন্ধুত্ব লোকসমাজে স্থায়ী আদর্শ দান করিতে পারিত না। সৌভাগ্যক্রমে বিদ্যাসাগরের ম্যুত্ব তাহার কাজের মধ্যে আপনার ছাপ রাখিয়া যাইবে, কিন্তু তাহার অসামান্য মনস্বিত, যাহা তিনি অধিকাংশ সময়ে মুখের কথায় ছড়াইয়া দিয়াছেন, তাহ কেবল অপরিস্ফুট জনশ্রুতির মধ্যে অসম্পূর্ণ আকারে বিরাজ করিবে।” স্বগীয় শিবনাথ শাস্ত্রী মহাশয় সেই চটিজুতার কথা বলিতে গিয়াই • লিখিয়াছেন,— “মানব-চরিত্রের প্রভাব যে কি জিনিস,উগ্র-উৎকট-ব্যক্তিত্ব-সম্পন্ন তেজীয়া পুরুষগণ ধনবলে হীন হইয়াওযে সমাজমধ্যে কি প প্রতিষ্ঠা লাভ করিতে পারেন, তাহ আমরা বিদ্যাসাগর ম... কে দেখিয়া জানিয়াছি। সেই দরিদ্র ব্রাহ্মণের সস্তান, যাহার পিতার দশ বার টাকার অধিক আয় ছিল না, যিনি বাল্যকালে অধিকাংশ সময় অদ্ধাশনে থাকিতেন, তিনি এক সময় নিজ তেজে সমগ্র বঙ্গসমাজকে