পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ १५ ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ওঁ কুসংস্কারকে নিৰ্ম্মমভাবে আঘাত করিতে তিনি দ্বিধা করিলেন না, দৃঢ়হস্তে সকল বাধা অপসারিত করিতে অগ্রসর হইলেন। পাঠ্য পুস্তক fছল না, পাঠ্য পুস্তক রচনা করিতে বসিলেন, দিকে দিকে বিদ্যালয় স্থাপন করিয়া জাতীয় উন্নতির মূল দৃঢ় করিতে প্রবৃত্ত হইলেন, অন্তঃপুরে শিক্ষাবিস্তারের দ্বারা ভবিষ্যং জাতিগঠনের কাজে অগ্রণী হইলেন । এই সংস্থাপমুক্তত্ব, এই সাহস এবং জ্ঞান ও বুদ্ধির উপর এই নির্ভরশীলতা তাহার মধ্যে কেমন করিয়! কোথা হইতে আসিল । তাহার পারিবারিক ইতিহাসের মধ্যে—রামজয়-ঠাকুরদাস-ভগবতীর মধ্যে, মেদিনীপুরবীরসিংহের মধ্যে অথবা সমসাময়িক ঘটনাবলীর মধ্যে এই সমস্যার সমাধান নাই। বাংলাদেশের সকল অভাবনীয়ের মত ১২২৭ বঙ্গাব্দের ১২ই অশ্বিন (১৮২৭, ২৬ সেপ্টেম্বর) মঙ্গলবার দিধা দ্বিগ্রহরে মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে বন্দ্যোপাধ্যায়-পরিবারে ঈশ্বরচন্ত্রের আবির্ভাবও আকস্মিক; আমরা সৌভাগ্যবান যে,এই আকস্মিকতার ফলভোগ আজিও করিতেছি। বিদ্যাসাগর যাহা ধরিতেন, তাহ ঐকান্তিকভাবে সম্পন্ন করিতেন। বাধা-বিঘ্ন, বিরোধ, অভাব তিনি গ্রাহ করিতেন না। সংস্কৃত কলেঞ্জের অধ্যক্ষতার গুরু তার যখন তিনি স্বন্ধে বহন করিতেছেন, নিজের দায়িত্বে তখন তিনি গ্রামে গ্রামে বালিকা-বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করিতে পশ্চাৎপদ ইন নাই। স্থাপত্র-সরকালের শেয সম্মতির জন্য অপেক্ষা করিয়া বসিয়া থাকিবার লোক তিনি ছিলেন না। সরকার এ-বিষয়ে তাহার ঋণ পরিশোধ করিতে অবশেষে সম্মত হইলেও তাহাকে যে যঃ ভূগিতে হইয়াছিল, তাহা স্বীকার করিতে হইবে। তবুওঁ ? শেক্ষ-বিস্তারে তাহার আগ্রহ কিছুমাত্র কমে,মাই। নারীর প্রতি তাহার অপরিসীম শ্রদ্ধা ছিল বলিয়া নারীজাতির উন্নতি ও দুঃখ লাঘবের জন্য সকল অহঠানে তিনি অগ্রণী ছিলেন ।