পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর তিনি বন্ধুবং আচরণ করিতেন, এবং যে তাহা ঠ অসম্মানের সহিত ব্যবহার করিত, ইংরেজ অথবা উচ্চপদস্থ কৰ্ম্মচারী হইলেও তিনি তাহার প্রতি অতুরূপ আচরণ করিতে ছাড়িতেন না। সামাজিক অচরণে ঈশ্বরচন্দ্রের কোনরূপ সঙ্কীর্ণতা ছিল না। ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে৪ তাহার কোনরূপ গোড়ামি ছিল না। সব জিনিস তিনি যুক্তি দিয়া পরখ করিতেন। শাস্ত্রে অাছে’-ইহাই তাহার কাছে শেষ কথা ছিল না। তাহার মতামত খুব স্পষ্ট ছিল। এমন কি, এক সময়ে বেদাস্তকে তিনি ভ্রান্ত দর্শন বলিতেও কুষ্ঠিত হন নাই। তিনি নিজের কৰ্ম্মক্ষেত্র বাছিয়া লইয়াছিলেন । সমাজ তাহার কৰ্ম্মক্ষেত্র। রাজনৈতিক আন্দোলনে তিনি বড়-একটা যোগ দিতেন না। কিন্তু শিক্ষা ও সমাজ-সংক্রান্ত ব্যাপারে তিনি নিজের পূর্ণ শক্তি নিয়োগ করিয়াছিলেন। ছেলেরা ভধিযুক্তে খাহীতে ভাল বাংলা লেখক ও সাহিত্যস্রষ্টা হইতে পারে, তিনি এমনি ভাবে সংস্কৃত কলেজের ছাত্রদের গড়িতে চাহিয়াছিলেন। উহার মতে, সংস্কৃত ও ইংরে8" এই উভয় ভাষায় ভালরূপ ব্যুৎপত্তি না জন্মিলে, কেহ ভাল বাংলা । ক হইতে পারে না। তাই ইংরেজী গদ্যের প্রসাদগুণ এবং সংস্কৃতের ভ, স্পদ তাহার রচনায় পরিস্ফুট। বিদ্যাসাগরের আর একটি গুণ ছিল—তাহার এক-নিৰ্ব্বাচনের অদ্ভূত ক্ষমতা। এই গুণের অধিকারী ছিলেন বলি , তাহার পক্ষে অনেক প্রতিষ্ঠান গড়িয়া তোলা সহজ হইয়াছিল। দু-একটি উদাহরণ দিলেই বুঝিতে পারা যাইবে। হিন্দু পেটুরিয়টের সুবিখ্যাত সম্পাদক হরিশ্চন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যু হইলে (১৪ জুন ১৮৬১) তাহার নিঃসহায় পরিবারবর্গের মুখ