পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃত্যু Ꮌ8Ꮌ নিমিত্ত প্রায় বিদেশাভিমুখে গমন করিয়া থাকেন এবং তাহাতে তিনি কৃতকাৰ্য্য হইয়া ফিরিয়া আসেন তাহার সন্দেহ নাই। দীনবন্ধু বাবু পোষ্ট অফিসের কৰ্ম্মে বিশেষ পারদশিত। দেখাইয়াছিলেন সেই জন্যে তিনি গবর্ণমেণ্ট হইতে রায় বাহাদুর উপাধি প্রাপ্ত হইয়াছেন। কিন্তু এই সঙ্গে তাহার উচ্চপদ এবং বেতন বৃদ্ধি হওয়া উচিত ছিল। আমরা ভরসা করি গবর্ণমেণ্ট সত্বর তাহাকে উচ্চ পদাভিষিক্ত করিয়া দিয়া তাহার পরিশ্রমের যথার্থ ফল তাহাকে প্রদান করিবেন। ( ৭ জুন ১৮৭২ ) রায় দীনবন্ধু মিত্র বাহাদুর ইষ্ট ইণ্ডিয়ান রেলওয়ের ইনস্পেক্টরের পদে নিযুক্ত হইয়াছেন। দীনবন্ধু বাৰু দীর্ঘকাল ইনস্পেক্টরি কৰ্ম্ম করিয়া শেষে তাহার গত কার্য্যের পুরস্কার স্বরূপ তিনি কলিকাতায় আনীত হন। এখানে তাহার অবিশ্রাস্ত পরিশ্রম করিতে হইত, কিন্তু তিনি তথাচ দীর্ঘকাল ভ্রমণ করিয়া২ এক স্থলে থাকায় কতক বিশ্রাম পাইয়াছিলেন। এক্ষণ আবার তাহাকে ভ্রমণ কার্য্যে নিযুক্ত করা নিতান্ত অন্যায় হইয়াছে। যাবজ্জীবন ভ্রমণ করিয়া শেষে একটু শান্তি প্রাপ্ত না হইলে ভারি কষ্টকর বিষয়।” ( ১৩ অক্টোবর ১৮৭২ ) মৃত্যু অতিরিক্ত পরিশ্রমে দীনবন্ধুর শরীর ভাঙিয়া পড়িয়াছিল । ১ নবেম্বর ১৮৭৩ তারিখে তিনি পরিবারবর্গকে অকুলে ভাসাইয়া পরলোকগমন করেন। ডাক-বিভাগের কর্তৃপক্ষের অবিচারের ফলেই তাহাকে অকালমৃত্যু বরণ করিতে হইয়াছিল। বঙ্কিমচন্দ্র সত্যই লিখিয়াছেন – “দীনবন্ধুর যেরূপ কাৰ্য্যদক্ষতা এবং বহুদৰ্শিতা ছিল, তাহাতে তিনি যদি বাঙ্গালী না হইতেন, তাহা হইলে মৃত্যুর অনেক দিন