পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রচনাবলী প্রাথমিক রচনাঃ পঠদশায় দীনবন্ধু গল্প-পঙ্ক লিখিতে স্বরু করেন। র্তাহার প্রাথমিক রচনাগুলি সম্বন্ধে বঙ্কিমচন্দ্র বলিয়াছেন — · “ হেয়ার স্কুলে ] থাকিতে থাকিতেই তিনি বাঙ্গালা রচনা আরম্ভ করেন। সেই সময় তিনি প্রভাকর-সম্পাদক ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্তের নিকট পরিচিত হয়েন। বাঙ্গালা সাহিত্যের তখন বড় দুরবস্থা। তখন প্রভাকর সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট সংবাদ-পত্র। ঈশ্বর গুপ্ত বাঙ্গাল সাহিত্যের উপর একাধিপত্য করিতেন। বালকগণ র্তাহার কবিতায় যুদ্ধ হইয়া হার সঙ্গে আলাপ করিবার জন্ত বাগ্র হইত। ঈশ্বর গুপ্ত তরুণ-বয়স্ক লেখকদিগকে উৎসাহ দিতে বিশেষ সমুৎসুক ছিলেন। হিন্দু পেটুরিয়ট যথার্থই বলিয়াছিলেন, আধুনিক লেখকদিগের মধ্যে অনেকে ঈশ্বর গুপ্তের শিষ্য। কিন্তু ঈশ্বর গুপ্তের প্রদত্ত শিক্ষার ফল কত দূর স্থায়ী বা বাঞ্ছনীয় হইয়াছে তাহ বলা যায় না। দীনবন্ধু প্রভৃতি উংকৃষ্ট লেখকের ন্তায় এই ক্ষুদ্র লেখকও ঈশ্বর গুপ্তের নিকট ঋণী। সুতরাং ঈশ্বর গুপ্তের কোন অপ্রশংসার কথা লিখিয়৷ আপনাকে অকৃতজ্ঞ বলিয়া পরিচয় দিতে ইচ্ছুক নহি। কিন্তু ইহাও অস্বীকার করিতে পারি না যে, এক্ষণকার পরিমাণ ধরিতে গেলে, ঈশ্বর গুপ্তের রুচি তাদৃশ বিশুদ্ধ বা উন্নত ছিল না, লগতে হইবে। তাহার শিস্যেরা অনেকেই তাহার প্রদত্ত শিক্ষা বিস্তৃত হইয়৷ অন্য পথে গমন করিয়াছেন। বাৰু রঙ্গলাল বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতির রচনামধ্যে ঈশ্বর গুপ্তের কোন চিহ্ন পাওয়া যায় না। কেবল দীনবন্ধুতেই কিয়ং পরিমাণে র্তাহার শিক্ষার চিহ্ন পাওয়া যায়।”